shono
Advertisement
Anubrata Mondal

বোলপুর SDPO অফিসে ৫ আইনজীবী, হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত

সূত্রের খবর, সোমবার সিউড়ি মহকুমা আদালত কিংবা কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা।
Published By: Sayani SenPosted: 11:16 AM May 31, 2025Updated: 12:51 PM May 31, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেডলাইন পার। এখনও হাজিরায় সাড়া দিয়ে থানায় যাননি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বোলপুর এসডিপিও অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর ৫ আইনজীবী। যদিও এসডিপিও অফিস থেকে বেরনোর সময় এক আইনজীবী বলেন, "অন্য বিষয়ে কথা বলতে এসেছিলাম।" আবার আরও এক আইনজীবীর দাবি, "এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ।" সূত্রের খবর, সোমবার সিউড়ি মহকুমা আদালত কিংবা কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা।

Advertisement

বীরভূমের তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। দু’জনের কথোপকথনের সেই অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় শোরগোল। যদিও সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। শুক্রবার পুলিশ সেই অডিওর ভিত্তিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ২টি জামিন অযোগ্য-সহ মোট চারটি ধারায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে শনিবার থানায় তলব করা হয়।

এরপর শুক্রবার দুপুরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে কড়া বার্তা পাঠায়, ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোকজও করা হতে পারে। এরপর আর একটুও সময় নষ্ট করেননি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লিখে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধারণ পুলিশকর্মী থেকে একজন বড় অফিসার, সবাই দিদির কাছের মানুষ। তাদের অপমান করার কথা ভাবতে পারি না। সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে আমি একবার কেন, ১০০ বার ক্ষমা চাইতে পারি। আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খায় এবং দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। সত্যি আমি দুঃখিত। কিন্তু আপনাদের ভাবতে হবে তিনটি মহকুমা বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল দেখে কারা ভয় পেল? বিজেপি কী করে আমার আর আমাদের বোলপুরের আইসিকে গালমন্দর ফুটেজ পেল? কে দিল? কোন চক্রান্ত নেই তো?’ চিঠির শেষাংশে তাঁর বক্তব্য, ‘তবুও আমি বলছি কোনও পুলিশ বন্ধু আমাকে ভুল বুঝলে আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’ এরপর দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছেও চিঠি পাঠান অনুব্রত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ডেডলাইন পার। এখনও হাজিরাও সাড়া দিয়ে থানায় যাননি অনুব্রত মণ্ডল।
  • তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বোলপুর এসডিপিও অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর ৫ আইনজীবী।
  • সূত্রের খবর, সোমবার সিউড়ি মহকুমা আদালত কিংবা কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা।
Advertisement