shono
Advertisement

‘এক জায়গায় লড়ে অন্য জায়গায় পালাই না’, মুনমুনকে কটাক্ষ বাবুলের

ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার আসানসোলের বিদায়ী সাংসদের। The post ‘এক জায়গায় লড়ে অন্য জায়গায় পালাই না’, মুনমুনকে কটাক্ষ বাবুলের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:47 PM Mar 24, 2019Updated: 09:09 AM Mar 25, 2019

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ‘আমি যেখানে লড়েছিলাম ভোটে জেতার পর দ্বিতীয়বার আবার সেখান থেকেই লড়ছি। আমি এক জায়গায় লড়ে অন্য জায়গায় পালাই না।’ নাম না করে প্রতিপক্ষ মুনমুন সেনকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। রবিবাসরীয় প্রচারে নেমে নিজের কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে এই প্রসঙ্গ টেনে আনেন বাবুল। তিনি বলেন, মুনমুন সেনের পার্লামেন্টে উপস্থিতির হার মাত্র ১৭ শতাংশ। উনি বাঁকুড়ার জন্য কিছু করেননি। সেজন্যই ওখান থেকে সরিয়ে আসানসোলে আনা হয়েছে। একথা শুধু বিজেপি না সিপিএমও পোস্টার দিয়ে বলছে সেখানে। পাঁচ বছরে মাত্র তিন থেকে চারবারই তাঁকে দেখা গিয়েছে। তাও শুধু মেলার উদ্বোধনে।

Advertisement

রবিবার আসানসোলের ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বাবুলের পরিবারও উপস্থিত ছিলেন মন্দিরে। প্রার্থী ঘোষণার পর এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ভোটের প্রচার শুরু করেন। পুজো দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার এসে মানসিকভাবে খুব আনন্দে রয়েছি। কারণ, আমার পক্ষে যা যা করা সম্ভব ছিল বিপুল বাধা বিপত্তি সত্বেও কাজ করার চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে মানুষের উন্নয়নের কাজ করতে পেরেছি। আমি নিশ্চিত কেন্দ্রে মোদিজির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পর আমাকে অন্য ভূমিকায় আপনার ফের দেখতে পাবেন।’ এদিন হুডখোলা জিপে আসানসোল উত্তল এলাকার কাঁখোয়া ও রানিগঞ্জের এগারা এলাকায় প্রচার শুরু করেন। উল্লেখ্য, এই এগারায় প্রথমবার ভোটে নেমে বাবুল বাধার মুখে পড়েছিলেন। এবার সেখানেই তাঁকে দেখতেই জনজোয়ার নামে। রুইদাস পাড়ার বাসিন্দারা বিজেপিতে যোগদান করেন। হাতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে জায়গায় জায়গায় তিনি বক্তব্য রাখেন।

[আরও পড়ুন: দাড়িভিট কাণ্ডই মোক্ষম অস্ত্র, জেতার বিষয়ে আশাবাদী রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী]

এদিনই রানিগঞ্জের অমৃতনগরে তৃণমূলের কর্মিসভায় মুনমুন সেন বাবুলকে লক্ষ্য করে তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘শুধু গান গেয়ে উন্নয়ন হয় না।’ এর জবাবে বাবুল রানিগঞ্জে দাঁড়িয়েই বললেন, টএকজন সাংসদ বছরে পাঁচ কোটি টাকা পান ধাপে ধাপে। তার বাইরে গিয়ে একশো কোটি টাকার ওপর আমি উড়ালপুল ও ইএসআই হাসপাতালের কাজের জন্য নিয়ে এসেছি কেন্দ্র থেকে। বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারপোর্টে উদ্যোগ নিয়ে চার রকমের ফ্লাইট চালু করিয়েছি। রাজ্যে প্রথম আধার কার্ড ও পাসাপোর্ট তৈরির অফিস চালু করিয়েছি আসানসোলে। সিএসআর ফান্ড থেকে দুহাজার সোলার লাইট লাগিয়েছি গ্রামে গ্রামে। রাজধানী ও দুরন্তের মতো ট্রেনের স্টপেজ করিয়েছি এখানে। আসানসোল স্টেশনে যাত্রীনিবাস করিয়েছি বিমানবন্দর ধাঁচের। সাংসদ কোটার টাকার কাজ করতে গিয়ে বহু বাধা পেয়েছি। নোংরা ভাষার শিকার হয়েছি, বুকে পাথর ছোঁড়া হয়েছে আমার। আমাকে হামলা করতে গিয়ে গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। লোহা, বালি, কয়লা মাফিয়ার বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই করেছি। তাই আজ আমি অনেক কনফিডেন্ট। সমস্ত তৃণমূল সাংসদের রিপোর্ট কার্ড সামনে রাখুন আর আমার রিপোর্ট কার্ড সামনে রাখুন সব পরিস্কার হয়ে যাবে।’

তিনি রানিগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বের সঙ্গে আসানসোলে আবার লড়াইয়ে তাই নেমেছি। এরকম অনেক জায়গা আছে বিজেপির জয় যেখানে নিশ্চিত ছিল কিন্তু আমি সেখানে ছুটে যাইনি। অনেক কাজ বাকি আছে। সে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করতে আসানসোলকেই আবার বেছে নিয়েছি।’

ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়

The post ‘এক জায়গায় লড়ে অন্য জায়গায় পালাই না’, মুনমুনকে কটাক্ষ বাবুলের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement