অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বেলগাছিয়া ভাগাড়ে যাতে আর নতুন করে ভূমিধস না হয়, তার জন্য ভাগাড়ের বড় পাহাড়টির আবর্জনা কেটে তা ছোট করার কাজ শুরু হয়েছে। বেলগাছিয়ায় পাহাড় কেটে জঞ্জাল সরাতে বায়োমাইনিংয়ের কাজ অনেক আগে থেকেই হচ্ছিল। ভূমিধসের অনেক আগে থেকেই চলছিল এই কাজ। এতদিন কাজটি শুধু রাতে হত। এবার ২৪ ঘণ্টাই এই কাজটি চলছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "প্রত্যেকদিন ২৪ ঘণ্টা বেলগাছিয়া ভাগাড়ের বড় পাহাড়ের জঞ্জাল কাটার বা বায়োমাইনিংয়ের কাজ চলছে। প্রতিদিন ১৬০০ থেকে ১৮০০ মেট্রিক টন আবর্জনা কাটার কাজ চলছে। আবর্জনা কমিয়ে ফেলা হচ্ছে যাতে করে ভূমিধসের মতো ঘটনা আর না ঘটে। এই কেটে ফেলা আবর্জনা আপাতত প্রসেসিংয়ের জন্য অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে, হাওড়া শহরের ভ্যাটগুলিতে উপচে পড়া আবর্জনা সরাতে এবার হাওড়া পুরসভার এজেন্সিগুলি ডাম্পারের সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে। দিনের পাশাপাশি এবার ভ্যাটের জঞ্জাল নিতে রাতেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে এই অতিরিক্ত ডাম্পারগুলি। বিশেষত আগামী সোম ও মঙ্গলবার ইদের আগেই শহরের ভ্যাট উপচে পড়া জঞ্জাল সরাতে তৎপর হয়েছে হাওড়া পুরসভা। প্রসঙ্গত, হাওড়া শহরের ভাগাড় থেকে কলকাতার ধাপায় আবর্জনা নিয়ে যেতে ডাম্পারগুলির সময় লাগছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও মা ফ্লাইওভার দিয়ে ডাম্পারগুলি নিয়ে যেতে বেশ সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে হাওড়া শহরের ভ্যাটগুলি উপচে পড়ছে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, হাওড়া শহরে রোজ যা আবর্জনা জমা হয় তার থেকে অতিরিক্ত ১২০০ মেট্রিক টন আবর্জনা জমা হয়ে রয়েছে। তাই এই অতিরিক্ত ১২০০ মেট্রিক টন আবর্জনা দ্রুত ফেলার জন্য এজেন্সিগুলিকে সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আর তাই এজেন্সিগুলি এবার তাদের আবর্জনা বহনকারী ডাম্পারের সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে।
বর্তমানে হাওড়া শহরের আবর্জনা তোলার জন্য এজেন্সিগুলির ৫০ থেকে ৬০টি ডাম্পার চলে। এই ডাম্পারের সংখ্যাই আরও বাড়ানো হচ্ছে। হাওড়া শহর থেকে প্রত্যেকদিন গড়ে ৫৫০ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন ত আবর্জনা তোলা হয়। অন্যদিকে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের কন্টেনারে ঘর তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা অনেকেই ওই কন্টেনারের ভিতর থাকতে চাইছেন না। শনিবার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে গিয়ে অন্তত এমনটাই দেখা গেল। বাসিন্দাদের দাবি, অত্যধিক গরমে কন্টেনারের ভিতর থাকা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের বাড়িতে প্রায় একশো জন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা বসবাস শুরু করেছেন।