সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরভোটে (WB Civic Polls 2022) সবুজ ঝড়। ১০৮ টির মধ্যে ১০২ টি পুরসভাই রয়েছে ঘাসফুলের দখলে। বামেদের দখলে মাত্র একটি। বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী স্থান পেলেও পুরভোটে কার্যত খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। কয়েকটি ওয়ার্ড পেলেও একটি পুরসভাও পায়নি গেরুয়া শিবির। যার জন্য ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছেন বিজেপির নেতারা। একই সুর অন্যান্য সুজন চক্রবর্তী-অধীররঞ্জন চৌধুরীর গলায়।
পুরভোটের এই ফল বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য। একটি পুরসভাতেও বোর্ড গঠন করতে পারছে না বিজেপি (BJP)। যা নিয়ে দলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কাছে ১০২ গোল খেয়েছে বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের পদত্যাগ করা উচিত। বিজেপির তো কোনও সংগঠনই নেই।” তবে দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এই ফল মানতেই রাজি নন তিনি। তাঁর কথায়, “এটা একটা প্রহসনের ফল। রাজ্যে গণতান্ত্রিক ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এই ফল মানছি না।”
[আরও পড়ুন: ঘাসফুলের দাপট অব্যাহত পুুরভোটেও, দেখে নিন পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, বীরভূমের ফলাফল]
পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন, “যে সমস্ত জায়গায় বিরোধিরা জিতেছে সেটা দুর্ঘটনা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মানুষের ঘৃণা শাসকদলের রিগিংকে ছাড়িয়ে গিয়েছে!” আগেরবারও তাহেরপুর (Taherpur) ছিল বামেদের দখলে। এবারও তা নিজেদের দখলে রেখেছে বামেরা। সামগ্রিকভাবে ফলাফলের খানিকটা উন্নতি হয়েছে ঠিকই, তবে তা অত্যন্ত সামান্য। এই ফল প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ভোট লুট হয়েছে। রীতিমতো সন্ত্রাস হয়েছে। এভাবে ভোট হতে পারে না।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মানুষ ঠিক তফাতটা বুঝতে পারবে।