দেবব্রত দাস, খাতড়া: দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে আক্রান্ত বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীর বিজেপি (BJP) বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। রবিবার রাতের দিকে মানিকবাজার এলাকায় তাঁর গাড়ির উপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। চলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। অভিযোগ, বিধায়কের উপরও হামলার চেষ্টা চলে, কিন্তু তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় রক্ষা পান দিবাকরবাবু। তবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন বিজেপি কর্মী। তাঁরা ভরতি সোনামুখী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। অভিযোগ যথারীতি অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
রবিবার সন্ধেবেলা মানিকবাজারের কাষ্ঠসাঙা গ্রামের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সোনামুখীর (Sonamukhi) বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। তিনি সেখানে কথাবার্তা বলার পর ফেরার পথে মানিকবাজারের কাছে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়েন। দিবাকরবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে তেড়ে আসে। তাঁদের মুখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও শোনা গিয়েছে। গাড়ি ঘিরে চলে বিক্ষোভ। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা অবশ্য তৎপর হয়ে সেখান থেকে তাঁকে নিরাপদে বের করে গাড়িতে তুলে দ্রুত চলে যান। কিন্তু দিবাকরবাবুর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী আক্রান্ত হন। দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে কারও মাথা ফেটে যায়, কেউ বা হাতে-পায়ে চোট পান। তাঁদের সকলকে রাতেই ভরতি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় কান্নাভেজা গলায় এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন তোলেন, ”বিজেপি করা কি অপরাধ? কেন আমাদের এভাবে আক্রান্ত হতে হচ্ছে?”
[আরও পড়ুন: দুই সন্তানের কাছে মেলেনি ঠাঁই, হাওড়ার বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরাল মুম্বইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা]
বিজেপি বিধায়ক মানিকবাজার এলাকা ছাড়ার পরও রাতভর সেখানে উত্তেজনা জারি ছিল। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের খবর মিলেছে একাধিকবার। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। তাঁর পালটা দাবি, ”ওই গ্রামে বিজেপি বিধায়ক কী করতে গিয়েছিলেন, জানি না। সেখানে যা যা ঘটেছে, তা বিজেপিরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তৃণমূল এসবের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়।” তবে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে এখনও আতঙ্ক রয়েছে। বিশেষত বিজেপি সমর্থকরা নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন বলে দলীয় সূত্রে দাবি।