রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরির কাছে মৎস্যজীবীদের ট্রলারডুবি। মৃত্যু হল ২ জনের। এখনও নিখোঁজ ৭ মৎস্যজীবী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিখোঁজদের হদিশ পেতে সমুদ্রে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে। সেই কারণে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে ট্রলারে করে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শেখ তাজেমানের এফবি আলামিন-৪ নামের একটি ট্রলার। মোট ১২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন ট্রলারে। যাওয়ার সময় খেজুরির মসনদ-ই আলার কাছে চড়ে ধাক্কা লাগে ট্রলারটির। তাতেই ঘটে বিপত্তি। ধাক্কার জেরে উলটে যায় ট্রলারটি। সমুদ্রে পড়ে যান ১২ জনই। সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধার কাজ।
[আরও পড়ুন: আগামী বছর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসেই উচ্চমাধ্যমিক, পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানালেন সংসদ সভাপতি]
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৫ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন অসুস্থ। এখনও হদিশ মেলেনি ৭ মৎস্যজীবীর। জানা গিয়েছে, মৃত মৎস্যজীবীরা সম্পর্কে ভাই। সাগরের বাসিন্দা তাঁরা। উপার্জনের আশায় বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না। এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে ওই ট্রলারের নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের খোঁজে দফায় দফায় চলছে তল্লাশি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে রয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। ইতিমধ্যেই কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম ইরানি, মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক সুরজিৎ বাগ-সহ প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।