শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ইসলামপুরে (Islampur)। ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তরুণীকে। তারপর দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে বস্তায় ভরে, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বুধুগজ এলাকার ডাক নদীর সেতুর নিচে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। দেখতে পান বস্তা থেকে বেরিয়ে রয়েছে একটা আঙুল। এরপরই প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তিনি। খবর দেওয়া হয় ইসলামপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে বস্তাটি। সেটি খুলতেই দেখা যায় একটি ওড়না দিয়ে বাধা রয়েছে মহিলার দেহ। তার পোশাক অবিন্যস্ত। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে শরীরে। স্থানীয়দের অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি ফেলে যাওয়া হয় সেতুর নিচে।
[আরও পড়ুন: রেলের জমি দখলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র বসিরহাট স্টেশন, চলল গুলি, জখম ৫ আরপিএফ]
কিন্তু কোথা থেকে এল দেহটি? স্থানীয় কেউ কি জড়িত এর সঙ্গে? যে বস্তায় দেহটি ভরা ছিল তাতে শিলিগুড়ি লেখা ছিল বলে খবর। যার ফলে স্থানীয়দের ধারণা তৈরি হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উত্তর দিনাজপুরের এক কাউন্সিলর হাজি মহম্মদ জানান, তার লোকেরা প্রতিদিনই ওই সেতুর নিচ দিয়ে যান। কিন্তু গতকালও তাঁরা কিছু দেখেননি।
অর্থাৎ কাউন্সিলরের দাবি, গতকাল রাতেই দেহটি ওই এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি আদৌ ধর্ষণ ও খুন কি না, সে বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচিন মক্কার জানিয়েছেন, বস্তা বন্দি তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।