সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ভাঙড়। এরই মাঝে দুপুরের দিকে মাঠে রাখা আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ি থেকে উদ্ধার হল বোমা। এখনও উত্তপ্ত গোটা এলাকা। আহত বহু।
মঙ্গলবার নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। আইএসএফের অভিযোগ, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। বিজয়গঞ্জ বাজার, কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি চলে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলেই অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্ব এই কাজ করেছে বলেই দাবি তাঁদের। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় গাড়ি, মোটরবাইক। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হামলা আটকানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। পালটা একই দাবি করে তৃণমূল। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আধিকারিকদের শৌচালয়ে ঢুকিয়ে ব্যাংক ডাকাতি, সিসিটিভির হার্ডডিস্কও খুলে নিয়ে গেল দু্ষ্কৃতীরা]
প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে অশান্তি। এদিন দুপুরের দিকে বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুলের গাড়ি ছেকে উদ্ধার হয় একটি বোমা। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হাকিমুল। গোটা ঘটনার দায় আইএসএফের উপরই চাপিয়েছেন তিনি। হাকিমুল বলেন, “দু ঘণ্টা ধরে এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির লোকেরা। কম করে ৫ হাজার লোক এনে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। আমাদের কমপক্ষে ১০০ কর্মী আহত। কারও কারও গুলি লেগেছে। ওরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছে সকাল থেকে। ওরাই কিছু করেছে।” প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অশান্তির মাঝেও মনোনয়ন পেশ হয়েছে।
