অর্ণব দাস, বারাকপুর: প্রতিবছরই গঙ্গাসাগরের পুণ্য়ার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেয় নৈহাটি বড়কালী (বড়মা) পুজো সমিতি। এবছরও তার অন্যথা হল না। এর পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের সেবায় গঙ্গাসাগরে বড়মার নামে খোলা হয়েছে ক্য়াম্প। আজ, মঙ্গলবার পুণ্যস্নানের দিন পর্যন্তই চলবে ক্যাম্প।
ছবি: অর্ণব দাস।
সংক্রান্তির পূণ্যস্নান, মেলাকে কেন্দ্রকে প্রতিবছরই সেজে ওঠে গঙ্গাসাগর। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় রাজ্যের তরফে। এবছরও তা করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের স্বার্থে রাজ্যের তরফে চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। যাতে পুণ্যস্নান সারতে এসে কোনওভাবে সমস্যায় না পড়েন কেউ সেদিকে নজর প্রশাসনের। রাজ্যের পাশাপাশি অনেক সংস্থা নিজের মতো করেও বিভিন্নরকম আয়োজন করেন। সেরকমই প্রতিবছর গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ভাণ্ডারা ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ব্যবস্থা করে নৈহাটি বড়কালী পুজো সমিতি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। গত শুক্রবার থেকে গঙ্গাসাগরে বড়মা নামাঙ্কিত ক্যাম্প থেকে পুণ্যার্থীদের সেবা শুরু করেন কমিটির সদস্যরা। আজ, মঙ্গলবার পুণ্যস্নানের দিনই ক্যাম্পের শেষ দিন।
তিনদিনে বড়কালী পুজো সমিতির তরফে প্রায় দেড় লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভাণ্ডারা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। নৈহাটি বড়কালী পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রথম দিন চা, পরের দিন থেকে অন্ন, পোলাও খিচুড়ি খাওয়ানো শুরু হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার পুণ্যার্থীদের ভাণ্ডারা দেওয়া হয়েছে।