মলয় কুণ্ডু: নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়ে বাংলা! মহিলাদের নেতৃত্বেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে জাতীয় স্তরে সেরার শিরোপা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ঠিক পরেই এই সুখবর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি কেন্দ্রের রিপোর্ট উল্লেখ করে লিখেছেন, ''জাতীয় সমীক্ষার বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষ স্থান লাভ করেছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যের মহিলাদের অবদানও অসামান্য।''

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের অসংগঠিত শিল্পক্ষেত্রের উপর সমীক্ষা করা হয়েছিল। জাতীয় সমীক্ষার কার্যালয়ের সেই বার্ষিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বাংলাই এক্ষেত্রে দেশের সেরা। অংসগঠিত ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প, স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে বাংলা। উৎপাদন শিল্পে কর্মসংস্থানে বাংলা শীর্ষে। দেশের মধ্যে উৎপাদন এবং অন্যান্য কাজে বাংলায় কর্মী সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রেও বাংলায় এগিয়ে নারীরা। তাঁদের নেতৃত্বে বহু অসংগঠিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প তৈরি হয়েছে। মহিলা কর্মীর সংখ্যাও সেখানে রেকর্ড। আর কেন্দ্রীয় রিপোর্ট উল্লেখ করে এসবই খুঁটিনাটি সাফল্যের কথা সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরাজ্যের সরকার বরাবরই নারীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে একাধিক কর্মোদ্যোগ নিয়ে থাকে। সরকার পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি মূলত মহিলা নির্ভর। যার মধ্যে দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পান গ্রামবাংলার নারীরাও। ছোট স্তর থেকে শুরু করে এখন বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠীই বিরাট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তার অনেকগুলিই সরাসরি রাজ্য সরকারের অধীনে না হলে বিভিন্নভাবে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত। আর সেটাই নারীদের কর্মজগতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মূল উৎসাহ। বিশেষত অসংগঠিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনাধীন রাজ্যে এই চিত্র নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কেন্দ্রের সমীক্ষাতেও তা স্বীকার করা হয়েছে।