মলয় কুণ্ডু: রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় আরও এক মাইলস্টোন। এবার গ্রামীণ এলাকায় পরিষেবা বড়সড় সাফল্যের মুখ দেখল। তাতে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাফল্যের নেপথ্যে চিকিৎসকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। এদিন এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, টেলিমেডিসিন পরিষেবা আজ এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল। এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। দিনে দিনে এই পরিষেবা আরও ছড়িয়ে পড়বে এবং উপকার পাবেন আরও অনেকে, এই আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০২০ সালে, করোনা অতিমারী আবহে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল এই টেলিমেডিসিন পরিষেবা। লকডাউনের সময় যাতে চিকিৎসা পরিষেবা বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ঠিকমতো চিকিৎসা হতে পারে, তার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করে। রোগীরা ভিডিও কলে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক রোগের সঠিক ওষুধ পেতে পারেন এই পদ্ধতিতে। চিকিৎসকরাও প্রেসক্রিপশন লিখে রোগীকে পাঠিয়ে দিলে সেইমতো ওষুধের দোকান থেকে কিনতে কোনও সমস্যা হবে না। করোনাকালে এই পদ্ধতিতে বহু মানুষ রোগের দাওয়াই পেয়েছেন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সেই পরিষেবাই কালে কালে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। সোমবার এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় টেলিমেডিসিন পরিষেবায় এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। ১১ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এই পরিষেবা পাওয়া যায়। এর সঙ্গে যুক্ত ৯ হাজারের বেশি চিকিৎসক, ৮০ হাজার পরামর্শদাতা। উল্লেখ্য, করোনাকালে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শমতো এই টেলিমেডিসিন পরিষেবা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল চিকিৎসক মহলেই। এমন সংকটকালে আরও সহজে চিকিৎসা পরিষেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে এই উপায় ছিল অব্যর্থ। এখন মহামারীর দুঃসময় পেরিয়ে গেলেও সেই পরিষেবা চলছে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায়।
