মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করল তৃণমূল। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছটি আসনে জিতে মাদ্রাসা পরিচালন সমিতি গঠন করা হল। কংগ্রেস একটি আসনে ও তৃণমূল পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে তারা একজোট হয়েছে। এমনই বক্তব্য দুই দলের স্থানীয় নেতৃত্বের। ঘটনাটি উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধায়ক কেন্দ্রের খাসখামার হাই মাদ্রাসার।
এত দিন কংগ্রেস ও সিপিএম জোট রাজনীতিতে কাছাকাছি ছিল। কিন্তু এবার সিপিএমকে সঙ্গে নিল না কংগ্রেস। সিপিএমের অভিযোগ, মনোনয়নে কারচুপি করায় তারা অংশ নিতে পারেনি। যদিও সিপিএমের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতি নির্বাচনের দিন। আজ, মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কংগ্রেস একটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। তৃণমূল পাঁচটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। সিপিএম কোনও আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবে বিনা প্রতিযোগিতায় জয়ী হন কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। ছয় জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ৬ তারিখ স্ক্রুটিনি। ৭ তারিখে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। এরপর জয়ীদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। এমনই জানিয়েছেন, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মল্লিক।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কংগ্রেসের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা অভয় দাস বলেন, উন্নয়নকে সামনে রেখেই একসঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে সায় দেয় কংগ্রেস। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি সিপিএম-সহ কোনও বিরোধী দল। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবেই আমরা জয়ী হয়েছি। ঐক্যবদ্ধ থেকেই আমরা মাদ্রাসার উন্নয়নকে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ একরামুল হক বলেন, স্থানীয় স্তরে উন্নয়নের স্বার্থেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই লড়াই। আগামী দিনে বৃহত্তর রাজনীতিতে এর কি কোনও প্রভাব পড়বে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিপিএম নেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লার অভিযোগ, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে ওরা কারচুপি করেছে। সেই কারণে অংশ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় স্তরে মানুষ কী করেছে, তার সঙ্গে বৃহত্তর রাজনীতির সম্পর্ক নেই। কারচুপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দাবি, কংগ্রেস নেতা একরামুল হকের।