বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও দিব্যেন্দু মজুমদার: একুশের ভোটে বাম, কংগ্রেস, আইএসএফের তৈরি সংযুক্ত মোর্চার ভরাডুবির পর এই জোটের ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা। কোনও কোনও নেতা জোট স্বীকার করছেন না, তো কেউ জোট ভেঙে দেওয়ারও পক্ষে। এই অবস্থায় রবিবার ফুরফুরা শরিফে (Furfura Sharif) গিয়ে আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui) এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আবদুল মান্নান (Abdul Mannan)। আর তারপর তিনি যা বললেন, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। মান্নানের বক্তব্য, দিল্লির নির্দেশেই জোট হয়েছিল। ভোট পরবর্তী সময়ে সেই জোট ভাঙার কথা বলেনি কেউই। তাই জোটের একমাত্র জনপ্রতিনিধির পাশে থাকা জরুরি বলে মত তাঁর।
রবিবার ফুরফুরা শরিফে যান কংগ্রেস (Congress) নেতা আবদুল মান্নান। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui) সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। কথা বলেন আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গেও। বৈঠক শেষে জোট প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে মান্নান বলেন, ”প্রদেশ কংগ্রেসে আমার থেকে সিনিয়র আর কেউ নেই। পদাধিকারী থাকতে পারে। আমি সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে চলি। জোট ভাঙতে হলে সোনিয়া গান্ধী যেদিন আমাকে বলবেন যে আর জোটে যাওয়া হবে না, তাহলে সেদিন যাব না। দিল্লি যদি বলে জোট ভেঙে দিতে, তবেই আমি মেনে নেব। আমি পার্টির নিয়ম মেনে চলি।” প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী যখন বারবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front)সঙ্গে কংগ্রেসের জোট অস্বীকার করছেন, সেখানে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আবদুল মান্নানের এই বক্তব্য নতুন করে জল্পনা উসকে দিল।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিনের পর জাল আধার কার্ড! এবার পুলিশের জালে বাঁকুড়ার যুবক]
এদিন ফুরফুরায় আসার কারণ হিসেবে মান্নান বলেন যে তাঁরা সংযুক্ত মোর্চা হিসেবে জোট গড়েছিলেন করেছিলেন। কিন্তু তাতে সাফল্য আসে নি। শুধুমাত্র ভাঙড় থেকে আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তাঁর নিজের এলাকায় যেতে পারছেন না, ঘরভাড়া পাচ্ছেন না। আজকে সংযুক্তা মোর্চা প্রার্থীর যে কোনও সুবিধা-অসুবিধায় তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্যই তিনি ফুরফুরায় এসেছেন। কারণ জোট এখনও ভাঙেনি। অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ”জোট একদিনে হয়নি। মাস খানেক সময় লেগেছিল জোট হতে। সেই সময় অধিকাংশই বলেছিলেন, জোটের দরকার আছে। জোটের প্রচার বা অন্যান্য কর্মসূচি সবই ঠিক ছিল। কিন্তু ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়েনি। তাই ফল খারাপ হওয়ার পর অনেকেই জোটে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আত্মসমালোচনা করে দুর্বলতা কাটিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”