দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কালাচের মারণ ছোবল। একই বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় ‘সহমরণে’ দম্পতি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও হয়নি প্রাণরক্ষা। দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানার তাড়দহ গ্রামে শোকের ছায়া।
নিহত দম্পতি গণেশ ও বিজলি মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানার তাড়দহ গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। সকাল হলেও ঘুম ভাঙছিল না দম্পতির। পরিবারের লোকজন তাঁদের ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেন। ঘুম ঘুম চোখে গণেশ জানায় বিছানায় কিছু কামড় দিয়েছে। পরিবারের লোকজন এমন কথা শোনা মাত্র শুক্রবার সকালে দম্পতিকে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য কালিকাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ, বীরভূমে NIA’র জালে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি]
দম্পতির অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃন্ময় বিশ্বাস দম্পতির পরিস্থিতি দেখেই বুঝতে পারেন কালাচ সাপে কামড় দিয়েছে। এক মুহূর্ত দেরি না করেই চিকিৎসা শুরু হয়। নার্সদের তৎপরতায় দম্পতিকে তড়িঘড়ি ৩০টি করে এভিএস দেওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ওই দম্পতি। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, “কালাচের কামড়ে দম্পতির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। চেষ্টা করেও দম্পতিকে বাঁচানো গেল না। সময় থাকতে হাসপাতালে আনলে হয়তো বাঁচানো যেতে পারত। ক্যানিং হাসপাতালের চিকিৎসকরা মাত্র ২০ মিনিট চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছিলেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চেষ্টাও চালানো হয়েছিল। কিন্তু কালাচের তীক্ষ্ণ বিষের কাছে হেরে গেলেন দু’জনে।
