সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: রাজ্যে পুলিশের (WB Police) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আগেও। পুলিশ সরকারের দলদাসে পরিণত হয়েছে, পক্ষপাতমূলক আচরণ – এসব অভিযোগও নতুন নয়। সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে চলা নানা ঘটনাতেও পুলিশের গাফিলতি নিয়ে সমলোচনা চলছে। তবে শনিবার উর্দিধারীদের উদ্দেশে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিল। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম (Md. Selim) বললেন, ”পুলিশকে মাইনে দিয়ে না রেখে কুকুর পুষলে ভাল হতো। তারা গন্ধ শুঁকে যেদিকে যাবে, সেদিকেই অপরাধের চিহ্ন পাওয়া যেত।” অর্থাৎ নানা ঘটনার তদন্তে পুলিশের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন সেলিম। তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে যথারীতি বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার কোম্পানি পুকুরে মার্চের ৩০ তারিখ সিপিএম (CPM) কর্মী বিদ্যুৎ মণ্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে খুন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দোষীরা অধরা, সেই জন্য জুলপিয়া কয়ালের মোড়ে সিপিএমের যুবনেতা বিদ্যুৎ মণ্ডলের খুনিদের শাস্তির দাবিতেই এই সমাবেশ। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী-সহ অন্যান্য নেতারা। মঞ্চে দেখা গেল নিহত বিদ্যুতের মাকেও। তাঁর হাতে ছিল ছেলের ছবি।
[আরও পড়ুন: ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান লুট’, রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মমতা]
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই সেলিম বলেন, ”পুলিশকে কেন মাইনে দিয়ে রাখা হয়েছে? পুলিশের কাজ দালালি করা। তার চেয়ে কয়েকটা কুকুর পুষলে ভাল হয়। পুলিশেরই কুকুর থাকে ট্রেনিং দেওয়া। তারা গন্ধ শুঁকে সঠিক জায়গায় চলে যেতে পারে। তাতেই বোঝা যাবে, অপরাধ কোথায় কোথায় হচ্ছে।” এরপর তাঁর আরও বক্তব্য, ”রাজ্যে খুনের রাজনীতি চলছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে হলে সবাইকে এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে।”
তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে বিতর্ক বেঁধেছে। পুলিশ প্রশাসনের একাংশ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকদের অনেকের দাবি, এমন মন্তব্য করার আগে ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন ছিল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের। সব পুলিশ কর্মী, আধিকারিকদের একসারিতে ফেলে তাঁদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না।