নব্যেন্দু হাজরা: ধেয়ে আসছে ‘অশনি’ (Cyclone Asani)। বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। মৌসম ভবন ইতিমধ্যে উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। সতর্ক রয়েছে নবান্নও। কিন্তু বাংলার জন্য এই ঘূর্ণিঝড় কি সত্যিই ‘অশনি সংকেত’?
দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে এই নিম্নচাপ (Heavy Rain) আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার শক্তিশালী নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Alert) পরিণত হতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঝড়ের অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার দিকে। তবে ১০ মে পর এই ঘূর্ণিঝড়ের মুখ ওড়িশার দিকে ঘুরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে বঙ্গীয় উপকূলেও।
[আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে রাজ্যের হাতিয়ার ‘জব ফেয়ার’, মেলা থেকে ৯ হাজার চাকরি হয়েছে, দাবি মন্ত্রীর]
মৌসম ভবন বলছে, বাংলার জন্য আপাতত কোনও অশনি সংকেত নেই। তবে ভারী বৃষ্টির সাক্ষী থাকবে বাংলা। ১০ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ১১ থেকে ১৩ মে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিস। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে নবান্নও। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
ঝড়ের অভিমুখে হঠাৎ বদল হতেই পারে। আগেও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বাংলা। তাই ইতিমধ্যে ১০ মে থেকে মৎস্যজীবীদেরও মাঝসমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। প্রস্তুত থাকছে কলকাতা পুরসভাও।
[আরও পড়ুন: ২৫ ফুট উঁচু ল্যাম্পপোস্টের মাথায় যুবক, উদ্ধারের চেষ্টা দেখেই ঝাঁপ! এলাকায় শোরগোল]
৯ মে অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকেই ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। শনিবার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যসচিবএমনই নির্দেশ দেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।আবহাওয়া কেমন থাকবে তা নিয়ে প্রয়োজনে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মাইকিং চলবে। উদ্ধারকাজের সমস্ত রকম প্ল্যান তৈরি করে রাখতে হবে।
গতবছরের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির অভিজ্ঞতা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এনডিআরএফ-এর সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। দরকার হলে আগে থেকে এনডিআরএফ মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে নির্দেশ নবান্নর।