নব্যেন্দু হাজরা: টের পাওয়া যাচ্ছে সিত্রাংয়ের উপস্থিতি। কালীপুজোর (Kali Puja 2022) দিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। সেই সঙ্গে রয়েছে হালকা-মাঝারি বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরে রয়েছে সিত্রাং (Sitrang)। সাগর দ্বীপ থেকে প্রায় ৪৩০ কিমি দূরে। বরিশাল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৮০ কিলোমিটার। সোমবারই সিত্রাং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার সকালে আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশে (Bangladesh)। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দর সুন্দরবন এলাকায় সিত্রাংয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি বলেই খবর।
সিত্রাংয়ের প্রভাব কলকাতায় কতটা পড়বে? জানা গিয়েছে, শহর ও শহরতলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত খাকবে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায়। আংশিক প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে লাগাতে হবে দিলীপকে, বঙ্গ বিজেপিকে স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের]
সোমবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া টের পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বাংলাদেশের বরিশালের কাছে তিনকোনা আইল্যান্ড ও সন্দীপের মাঝে ল্যান্ডফল করবে সিত্রাং। ল্যান্ডফলের সময় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে এর গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার থাকতে পারে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে সমুদ্রে ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সেই কারণে দুই চব্বিশ পরগণায় বাঁধের ক্ষতি সম্ভাবনা থাকছে।
এমনিতেই আমাবস্যার কোটালের ফলে ৫ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এতে যদি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ে বিপদের সম্ভাবনা থাকছে। তাই আগামী কয়েকটা দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দীঘা, মন্দারমণির মতো সৈকতেও পর্যটকদের না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী সমস্ত বিনোদনমূলক রাইড বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।