দিব্যেন্দু মজুমদার, উত্তরপাড়া : শ্মশানঘাটে এক মৃত ব্যক্তির জীবিত হয়ে ওঠার দাবিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভা এলাকার ভদ্রকালী শিবতলা শ্মশান ঘাটে। মৃতের নাম দেবাশিস মুখোপাধ্যায় (৫৫)। বাড়ি হাওড়ার বালি ডিংসাইপাড়ায়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দেবাশিস মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ছয় ঘণ্টা পরে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে রোগীর পরিবার মৃতদেহ দাহ করতে ভদ্রকালী শিবতলা শ্মশানঘাটে যায়। সেখানে পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন করার সময় হঠাৎ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, মৃত দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বেঁচে আছেন। তাঁর চোখ পিটপিট করছে।
[মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে আগুন-আতঙ্ক, জখম বেশ কয়েকজন]
এরপরই পরিবার শ্মশানঘাট থেকে সরাসরি তাঁকে পুরসভা পরিচালিত মহামায়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানকার চিকিৎসকরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা করার পর জানান, রোগী অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। তবু রোগীর পরিবারের মন মানতে চায় না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চিকিৎসকদের কথায় সহমত পোষণ করে তারা। তারপর ফের শ্মশানঘাটে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহ সৎকারও করে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হতে।
[তৃণমূল প্রার্থী হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের শিকার নুসরত-মিমি]
এ বিষয়ে মহামায়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ শুভদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, পরিবারের লোকেরা যখন ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন তখন তাঁর হাত ও পা ভীষণরকম ঠান্ডা ছিল। তবু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই ব্যক্তির ইসিজি করা হয়। ইসিজিতেও কোনও হৃৎস্পন্দনের লক্ষণ দেখা যায়নি। রোগী আগেই মারা গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আর এক চিকিৎসক জানান, অনেক সময় প্রিয়জনের বিয়োগ পরিবারের লোকজন মন থেকে মেনে নিতে পারেন না। সেসময় প্রিয়জনের দিকে এক দৃষ্টিতে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে হ্যালুসিনেশনের সৃষ্টি হতে পারে। মনে হতে পারে মৃত ব্যক্তি চোখ খুলছে, হাত পা নাড়ছে। কিন্তু সবটাই মনের ভুল।
The post চোখ নড়ছে, শ্মশান থেকে দেহ আবার হাসপাতালে appeared first on Sangbad Pratidin.
