শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের (Dhupguri By-election)শেষবেলার প্রচারে উত্তেজনা। রবিবার ধূপগুড়িতে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বানারহাটের কাছে তাঁর কনভয় ঘিরে ‘চোর চোর চোরটা’ স্লোগান ওঠে। নেতৃত্বে আইএনটিটিসিইউ-এর জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া। তাতে সাময়িক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় অবশ্য বিক্ষোভ এড়িয়ে বেরিয়ে যায়। চা শ্রমিক দেওঠান ওঁরাওয়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিক, রাজু বিস্তারা।
রবিবার ছিল ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন। বানারহাটের পাঁচটি চা বাগানে বিজেপি (BJP) প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে সেখানে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), নিশীথ প্রামাণিক, সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিতালি রায়-সহ একঝাঁক নেতানেত্রী। এদিন গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে নির্বাচনী প্রচার শেষ করে ফেরার পথে বানারহাটে এলআরটি মোড়ের কাছে শুভেন্দুর কনভয় পৌঁছতেই ‘চোর চোর চোরটা/ শিশিরবাবুর ছেলেটা’ স্লোগান (Slogan)দিতে থাকে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের আইএনটিটিইউসির (INTTUC) সভাপতি রাজেশ লাকড়ার নেতৃত্বে দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। যদিও এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজেশ লাকড়ার দাবি, ”বিজেপি এতদিন দাবি করেছিল মিতালি চোর, মিতালির স্বামী চোর। আর আজকে তারা সেই মিতালি রায়কেই তাদের দলে যোগদান করাল! তাই এই স্লোগান।”
[আরও পড়ুন: টিকিটের হাহাকারের মধ্যেই ফাঁকা গ্যালারি! ডুরান্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সমর্থকদের]
প্রচার শেষে চা শ্রমিকের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ (Lunch) সারলেন কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লা, সাংসদ রাজু বিস্তা, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চা বাগানে চষে বেরিয়ে প্রচারের ফাঁকেই শ্রমিক দেওঠান ওঁরাওয়ের বাড়ির বারান্দায় বসেই মধ্যাহ্নভোজ করেন। মেনুতে ছিল ডাল,আলুপটলের তরকারি,আলুপোস্ত,পনির,চাটনি, পাঁপড়। তাঁদের খাইয়ে খুশি শ্রমিক পরিবার।
এদিকে প্রচারে নেমে বানারহাট থানার আইসি শান্তনু সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী নির্বাচনের আগে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে শাসানো এবং ভয় দেখানো হবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণেই প্রচারের মঞ্চ থেকে নিজের মোবাইল নম্বর শেয়ার করেছেন তিনি। পুলিশ দিয়ে শাসানোর কোনও ঘটনা ঘটলেই হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) তাঁকে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।