শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সুপ্রিম রায়ের জেরে কার্যত শিক্ষকশূন্য রাজ্যের বহু স্কুল! উত্তর দিনাজপুরের কোনও স্কুলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে দেখা গেল না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হল পড়ুয়াদের। কোথাও পরীক্ষা হল পরীক্ষক ছাড়াই। এরপর কী হবে? উত্তর অজানা।
সোমবার প্রথম পর্বে রায়গঞ্জের মহারাজহাট হাই স্কুলের সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের ইংরেজি ও বাংলা পরীক্ষা ছিল। দ্বিতীয় পর্বে ছিল নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ওই স্কুলে এগারোজন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। তার মধ্যে গণিতের তিন শিক্ষক, বিজ্ঞান শাখার চারজন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও এডুকেশনে বিভাগের শিক্ষক সংখ্যা শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে। চাকরি হারানোর জেরে উচ্চমাধ্যমিকের কলা বিভাগের ক্লাসও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্রনাথ মাহাত বলেন, "স্কুলে ৩৩০০ পড়ুয়া। কিন্তু সুপ্রিম রায়ের জেরে পাঁচটি সাবজেক্টের একজনও শিক্ষক নেই। ফলে ক্লাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।"
অন্যদিকে একলপ্তে নয়জন শিক্ষিকার চাকরি হারানোর ফলে চোপড়া গার্লস স্কুলেও একাদশের ক্লাস আপাতত স্থগিত। রায়গঞ্জ দেবীনগর কৈলাসচন্দ্র রাধারানি উচ্চ বিদ্যাপীঠের চাকরিহারা শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা গুহ স্কুলে গেলেও মিউজিক বিভাগের শিক্ষিকা কৃষ্ণমৃত্তিকা নাথ স্কুলে যাননি বলে খবর। শুধু তাই নয়, জেলার ১৭৮ টি হাই স্কুল রয়েছে। করণদিঘির সাবধান হাই স্কুলের ক্লাস স্থগিত। হেমতাবাদের বাঙালবাড়ি হাই স্কুলের উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস চালানোর জন্য এখন পার্শ্বশিক্ষকদের সাহায্য নিতে হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। রায়গঞ্জ সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্রের প্রধানশিক্ষক অভিজিৎ দত্ত বলেন, "স্কুলের ছয়জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছে। এরফলে একাধিক বিষয়ের শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়ল। কীভাবে ক্লাস হবে, বুঝতে পারছি না।"