shono
Advertisement

Durga Puja In Village: ‘দিদি’র সৌজন্যে উমা আরাধনা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় দুর্গাপুজোর আয়োজনে প্রমীলা বাহিনী

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমিয়ে পুজোর আয়োজনে গ্রামের মহিলারা।
Posted: 09:02 PM Oct 18, 2023Updated: 12:53 PM Oct 19, 2023

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গ্রামে এবারই প্রথম হবে উমা আরাধনা। দেবী দুর্গা পূজিতা হবেন নারীশক্তি বাহিনীর হাত ধরেই। সৌজন্যে ‘দিদি’র দেওয়া লক্ষীর ভাণ্ডারে তাঁদের জমানো টাকা। খুশির হাওয়ায় ভাসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোটা মলয়া গ্রাম।

Advertisement

মলয়া গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের প্রধান জীবিকা চাষবাস। অর্থনৈতিকভাবে বেশ দুর্বলই বলা চলে তাঁদের। সংসারে কেবল একটু সুখের আশায় বছরভর উদয়াস্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলান তাঁর। কিন্তু অভাব আজও নিত্যসঙ্গী মানুষগুলোর। শারদীয়ার মহোৎসব বড় একটা দাগ কাটে না ওঁদের মনে। শরতের আগমনী বার্তায় সারা বাংলা যখন আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকে মলয়ার গ্রামবাসীরা তখন পর্যাপ্ত ফসল ফলাতে না পারার বেদনায় উদ্বিগ্ন। শখ-আহ্লাদ পূরণ তো দূরে থাক, সারাটা বছর অন্নের সংস্থান কীভাবে হবে, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার অর্থ জোগাড় – এসব দুশ্চিন্তায় দিন কাটান তাঁরা।

[আরও পড়ুন: মহিলার স্নানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ব্ল্যাকমেল! অপমানে আত্মঘাতী বধূ]

পুজোর চারদিন কেউ কেউ গ্রামের বাইরে ঠাকুর দেখতে যেতেন। কিংবা অষ্টমীর অঞ্জলী দিতে বেরোলেও অধিকাংশই ব্যস্ত থাকতেন তাদের রুজিরোজগারে। আলো আর খুশির রোশনাই গায়ে মেখে সারা বাংলা যখন আনন্দে আত্মহারা, ওই গ্রামের মানুষ তখন দিশেহারা তাঁদের জীবনসংগ্রামে। শিশু ও বয়স্করা থাকতেন গৃহবন্দি। গ্রামবাসীদের বহুদিনের ইচ্ছা গ্রামে দুর্গাপুজোর আয়োজনের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিপুল খরচ। সমস্যা সমাধানে এবার এগিয়ে এল গ্রামের নারীশক্তি বাহিনী। বেশ কয়েকমাস ধরেই বাহিনীর সদস্যদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল বিষয়টা। গ্রামে পুজোর আয়োজনে শুরু হয় নানা পরিকল্পনা। শেষমেষ ঠিক হয় এবারই প্রথম মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে দুর্গাপুজো হবে গ্রামেই। মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকা দিয়ে হবে অর্থ সংস্থান।

যেমন ভাবা তেমন কাজ। নারীশক্তি বাহিনীর উদ্যোগে গ্রামে পুজোর আয়োজন। মলয়া নারীশক্তি বাহিনীর সম্পাদক রূপশ্রী মালি জানান, “মলয়া গ্রামের মূলত ২৫ জন গৃহবধূর চিন্তাভাবনা আর উদ্যোগ আজ সফল হতে চলেছে। আমাদের সমর্থনে পুজোয় অর্থসাহায্যে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গ্রামের অন্যান্য মহিলারাও। সকলের প্রচেষ্টায় এই প্রথম গ্রামে দুর্গাপুজোর আয়োজন হচ্ছে। বাজেট প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। টাকার বেশিরভাগটাই দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা থেকে। আমরা ঠিক করেছিলাম ভাণ্ডারের টাকা জমিয়ে গ্রামে পুজো করব।

প্রায় বছরখানেক ধরে টাকা খরচ না করে তা জমাতে শুরু করি  গৃহবধূরা। সেই জমানো টাকা আর গ্রামের বাড়ি বাড়ি থেকে তোলা চাঁদায় পুজো করছি। কেবল মহিলারাই নয়, পুরুষরাও সাহায্য করছেন আমাদের। সকলে মিলে চলছে পুজোর আয়োজন। প্রতি বছরই পুজো হবে গ্রামে। গ্রামবাসীদের আর গ্রামের বাইরে গিয়ে পুজো দেখতে হবে না।” দশভূজার আগমন বার্তায় খুশিতে তাই এখন ভাসছে গোটা গ্রাম। ভরপুর আনন্দে মেতে উঠেছে গ্রামের আট থেকে আশি। 

[আরও পড়ুন: হু হু করে বিকোচ্ছে গড়পঞ্চকোটের কাঠের দুর্গা, বিপুল লক্ষ্মীলাভ শিল্পীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার