রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পুজোয় উল্লাসে কোনও ‘রুল’ নেই। একটাই নিয়ম অনাবিল আনন্দ আর মজা। সেই নিয়ম মেনেই পুজোর দিনগুলি জমিয়ে ‘ব্যাটিং’ করল সুরাপ্রেমীরা। ষষ্ঠী থেকে দশমী শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই মদ বিক্রি হয়েছে ৩১ কোটি ৮ লক্ষ টাকার। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে উড়ল মদের ফোয়ারা।
পর্যটনের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। পুজোর সময় দিঘাতে ছিল মারকাটারি ভিড়। ছুটি উপভোগ করতে সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছিলেন ‘আমুদে’ বাঙালি। দিঘা ছাড়াও রয়েছে শঙ্করপুর, মন্দারমণির মতো পর্যটন কেন্দ্র। দশমীর দিন অনেকেই শেষবেলাটুকু সৈকতে উপভোগ করতে আগ্রহী। স্বাভাবিকভাবেই এই জায়গাগুলিতে মদ ব্যবসার একটা রমরমা ছিল বলে মনে করছেন জেলার আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা। শুধুমাত্র একটি জেলাতেই প্রায় ৩১ কোটি টাকার মদ বিক্রি হওয়ায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে আবগারি দপ্তরের ব্যবসা।
[আরও পড়ুন: SSKM-এর মর্গ থেকে উধাও বন্দির মৃতদেহ! পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পরিবারের]
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে শুধু ষষ্ঠীতেই মদ বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ১১ লক্ষ ৫ হাজার ২৫৭ টাকার। এর মধ্যে দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৮ হাজার ৬৭৪ দশমিক ১৬ লিটার। বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার ৯১৯ দশমিক ১২ লিটার এবং বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার ৭৯ দশমিক ৮৮ লিটার। সপ্তমীতে পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয়েছে ৬ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬১০ টাকার। এদিন দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৭২ হাজার ৭৮৬ দশমিক ৪ লিটার, বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার ৩৭১ দশমিক ৯৯ লিটার।
অষ্টমীতে জেলায় মদ বিক্রি হয়েছে ৬ কোটি ৪২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৪৪ টাকার। এর মধ্যে মোট দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৯৭ দশমিক ৯৬ লিটার। বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার ৬০৮ দশমিক ৩১ লিটার এবং বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৮৯ দশমিক ৯০ লিটার। এদিন মোট দোকান খোলা ছিল ২৭৯টি।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডে চার্জশিট পেশ, যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচতে ছাদ থেকে ঝাঁপ ছাত্রের, দাবি পুলিশের]
অষ্টমীর থেকে সামান্য কম ব্যবসা হয়েছে নবমীতে। এদিন দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজার ৯২৪ লিটার। বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৩৯ হাজার ২০২ দশমিক ৯০ লিটার এবং মোট বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৫৮ হাজার ৯৯৯ দশমিক ৩০ লিটার। এদিন মোট দোকান খোলা ছিল ২৮১টি। তবে নবমীকে টেক্কা দিয়েছে দশমীর মদবিক্রি। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে মদ বিক্রি হয়েছে ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ ৬ হাজার ৭১ কোটি টাকার। এর মধ্যে দেশি মদ ছিল ৭১ হাজার ৫৫৬ দশমিক ৬৫ লিটার এবং বিদেশি মদ ছিল ৪৬ হাজার ৪৭০ দশমিক ৫০ লিটার, বিয়ার ছিল ৭১ হাজার ৪২১ দশমিক ৯২ লিটার। পূর্ব মেদিনীপুরেই পুজোর পাঁচদিনে মদ বিক্রি হয়েছে ৩১ কোটি ৮ লক্ষ টাকার। আর এই লক্ষ্মীলাভে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাজ্যের আবগারি দপ্তরের কর্তারা।