শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গত আর্থিক বছরে কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্য পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে ইসিএল। সেবার লক্ষ্য ছিল ৫৪ মিলিয়ন টন কয়লা। উত্তোলন হয়েছে ৫২ মিলিয়ন টন। আর আগামী অর্থবর্ষে লক্ষ্য রাখা হয়েছে ৫৯ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন। নতুন দায়িত্ব নিয়েই শনিবার সাঁকতোরিয়ায় ইসিএলের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন সিএমডি সতীশ ঝাঁ। ইসিএলের এই উৎপাদন কোল ইন্ডিয়ার সব সহায়ক সংস্থার উৎপাদনগুলির চেয়ে বেশি। এর কৃতিত্ব এখানকার সমস্ত স্তরের কর্মী থেকে আধিকারিক তথা ইসিএল টিমের। তিনি বলেন, শুধু কয়লা উৎপাদনের ক্ষেত্রেই রেকর্ড হয়েছে তাই নয় ওভারবার্ডেন অর্থাৎ কয়লা তোলার আগে যে বিপুল পাথর, মাটি তোলা হয়েছে তাও রেকর্ড।
গত অর্থবর্ষে ১৮,৮৯৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার ওভার বার্ডেন ওঠানো হয়েছে। তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৭০.৯০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার ওভার বার্ডেন তুলে রেকর্ড হয়েছিল। এবার ওই পুরনো রেকর্ড ভাঙা গিয়েছে। ইসিএলের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে কোল ইন্ডিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম সর্বাধিক কয়লা উৎপাদনের রেকর্ড করল ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড। গত অর্থবর্ষে ৫২.০৩৫ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করেছে এই সংস্থা। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ২০১৯-২০ সালে ৫০.৪০ মিলিয়ন টনের।
ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি মোট উৎপাদনের ৬০ শতাংশ এসেছে আউটসোর্সিং থেকে। এর আগেই যেসব ঠিকাদাররা চুক্তিভিত্তিতে কাজ করতে আসতেন, তাঁরা সেই চুক্তি ঠিকঠাক কার্যকরী করতেন না। যে পরিমাণ কয়লা তোলার কথা, তা নানা অজুহাত দেখিয়ে তুলতেন না। এই রকম ২৩টি সংস্থাকে এবার সরিয়ে দিয়ে নতুন সংস্থাকে দিয়ে উৎপাদন করানো হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই এবার সর্বকালীন কয়লা উৎপাদনে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে বলে জানাচ্ছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।