অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ঊর্মিলাকে একা রেখে চলে যায় লক্ষ্মী। তারপর অন্তরালে ঊর্মিলাও। আর তাই দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হাতি বেঙ্গল সাফারি পার্কের গিয়ে হতাশ পর্যকটরা। বার্ধক্যজনিত কারণে ১৬ নভেম্বর মৃত্যু হয় কুনকি হাতি লক্ষ্মীর। ফলে সাফারিতে একা হয়ে যায় অন্য কুনকি হাতি ঊর্মিলা। তারও বয়সটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই একা তাকে দিয়ে সাফারি করা যাচ্ছে না। ফলে বিখ্যাত হাতি সাফারি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পার্ক কর্তৃপক্ষ।

তাই এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছে ঊর্মিলা। যদিও তার দেখভালে কোনও খামতি রাখা হয়নি। সকাল বিকেল পালা করে তাকে খাওয়া দাওয়া করানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে, পর্যটকদের দেখার জন্য সাফারির ভিতরেই মুক্ত বনাঞ্চলে ছেড়ে রাখা হয়েছে তাকে। ফলে, বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসা পর্যটকরা হাতির পিঠে চেপে ঘুরতে না-পারলেও, তাকে দেখে কিছুটা মজা উপভোগ করতে পারছেন। যদিও বেঙ্গল সাফারিতে পুনরায় হাতি সাফারি শুরু করতে কেন্দ্রীয় জু-অথরিটির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্য জু-অথরিটি ও বনদপ্তর। বনদপ্তর সূত্রে খবর, বেঙ্গল সাফারি পার্কের পক্ষে হাতি সাফারির জন্য অন্তত চারটি হাতির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে হাতির সংখ্যা কম থাকায় কোথা থেকে হাতি আনা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
যদিও ঊর্মিলার জন্য গরুমারা বা জলদাপাড়া থেকে এক জোড়া হাতি পাঠানোর প্রাথমিক চিন্তাভাবনা করছে বনদপ্তর। এই বিষয়ে বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা বিজয় কুমার বলেন, হংউর্মিলাকে দিয়ে আপাতত হাতি সাফারি বন্ধ রাখা হয়েছে। একার পক্ষে তার সাফারি করা সম্ভব না। তবে আমরা জু অথরিটির সঙ্গে আলোচনা করে হাতি আনার ব্যবস্থা করছি। কবে এই সাফারি চালু করা হবে, সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব না।" প্রসঙ্গত, হাতি সাফারি ছাড়াই ডিসেম্বরে ছুটির মরশুমে রেকর্ড আয় করেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক।