সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার ইডি’র স্ক্যানারে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। ২০১৬-১৭ সালে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। সেই মতো ইডিকে জানান হয়েছে বলেই দাবি তাঁর।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস জানান, গত বৃহস্পতিবার পুর কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিস এসে পৌঁছয়। ২০১৬-১৭ সালে মোট ১৬ জন নিযুক্ত হয়েছিলেন পুরসভায়। কীভাবে ওই ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় নোটিসে। সেই সময় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন মীরা হালদার। ওই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় নথি ইডিকে পাঠানো হবে বলেই দাবি বর্তমান পুরপ্রধানের।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘বউদিমণির কাগজওয়ালা’ খ্যাত গীতিকার কিংশুক চট্টোপাধ্যায়, বন্ধুকে হারিয়ে কী বললেন রূপঙ্কর?]
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু, কয়লা, শিক্ষা দুর্নীতির পর গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এমনকী প্রয়োজনে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, সেকথাও জানান। পাশাপাশি ডিজিপি (DGP) এবং মুখ্যসচিবের প্রতি তাঁর নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। গত ২৮ এপ্রিল সিবিআইকে তদন্ত সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।