সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধান এবং সহ-শিক্ষকের জেদাজেদি। অঙ্ক পরীক্ষার জন্য দুজনেই আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। ক্লাসরুমে দুই শিক্ষকই নিজেদের বানানো প্রশ্ন দেন। এক পরীক্ষায় দু’রকম প্রশ্ন পেয়ে চরম বিভ্রান্তিতে পড়ে পড়ুয়ারা। যার জেরে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেল সোনারপুরের হরিনাভির সুভাষিণী বালিকা বিদ্যালয়ে।
[এবার আপনিও আস্ত একটি ট্রামের মালিক হতে পারেন]
ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে ১৮০ জন পড়ুয়া। পরীক্ষার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বাচ্চারা এদিন স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু অঙ্ক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর তারা অবাক হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক চন্দ্রকান্ত দাস একটি ক্লাসরুমে একরকম প্রশ্নপত্র দিয়েছিলেন। অন্য একটি শ্রেণিকক্ষে নতুন একটি সেট প্রশ্নপত্র দেন সহ শিক্ষক গৌতম চক্রবর্তী। একই পরীক্ষার দু রকম প্রশ্ন মেলার খবর স্কুলে হইহই পড়ে যায়। এই খবরে বিরক্ত হন অভিভাবকরা। তাদের বিক্ষোভে অঙ্ক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকদের বক্তব্য, প্রধান ও সহ শিক্ষকের মধ্য বেশ কিছুদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল। দুজনের অশান্তির দায় কেন পড়ুয়ারা নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। ওই স্কুলের এক শিক্ষিকার বক্তব্য প্রধান শিক্ষক তাঁর থেকে প্রশ্নপত্র কেড়ে নিয়েছিলেন।
[পুজোর আগেই থিমের চমক, শহর মাতাচ্ছে ‘বালির গণেশ’]
ঘটনার খবর জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। প্রায় ৯০ বছরের পুরনো ওই স্কুলে প্রাথমিকের পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকও রয়েছে। স্কুলের ইতিহাসে এধরনের ঘটনা বেনজির। দুই শিক্ষকের এই কাণ্ডে স্কুলের সুনামে কালি পড়ল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
The post এক পরীক্ষায় দু’রকম প্রশ্নপত্র, বিভ্রান্তিতে পরীক্ষা ভণ্ডুল সোনারপুরে appeared first on Sangbad Pratidin.
