নন্দন দত্ত, সিউড়ি: জমি নিয়ে টানাপোড়েন এখনও চলছে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মধ্যে। বিতর্কিত জমির মিউটেশনের (Mutation) জন্য বোলপুরের বিএলআরও অফিসে আবেদন জানিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। সোমবার দুপুরে তার শুনানি। আর তার আগে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর হাতে এল ১৯৪৩ সালের সেই চুক্তিপত্র। যখন বিশ্বভারতীর কাছ থেকে ওই জমি লিজ নিয়েছিলেন অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন। এই নথিই আজ বিশ্বভারতী (Visva Bharati) তুলে দিতে চলেছে বিএলআরও-র কাছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই নথি অনুযায়ী ১.২৫ ডেসিম্যাল জমিই প্রাপ্য নোবেলজয়ীর।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের জমি জট নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, ‘প্রতীচী’র চারপাশে ১৩ ডেসিম্যাল জমি নোবেলজয়ী বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বোলপুরে ‘প্রতীচী’ অর্থাৎ অর্মত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন নোবেলজয়ীর। প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতার পর তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে জমির পরচা। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) ফের সাহায্য করবেন বলে নোবেলজয়ীকে আশ্বাস দিয়ে এসেছেন। তবে তাতেও কাটেনি জটিলতা।
[আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন চালালেন ইন্সপেক্টর ও স্টেশন মাস্টাররা! হাওড়া ডিভিশনে যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন]
বিশ্বভারতীর তরফে ফের জমি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তিন-তিনবার নোটিস পাঠানো হয়েছে অমর্ত্য সেনকে। এসব বিতর্কের মাঝে গত ১১ তারিখ বোলপুর বিএলআরও (BLRO) অফিসে যান অমর্ত্য সেনের প্রতিনিধি। নোবেলজয়ী নিজের নামে জমি মিউটেশন করাতে চান বলে আবেদন জানানো হয়। সোমবার শুনানি হবে বিএলআরও অফিসে। ওইদিন অমর্ত্য সেনকে সশরীরে হাজির থাকার কথা বলা হয়েছে। তার আগে বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেওয়ার নথি এল ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর হাতে। ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন নিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর কাছ থেকে। বিশ্বভারতীর দাবি, সেই জমি ছিল ১.২৫ ডেসিম্যাল, ১.৩৮ ডেসিম্যাল নয়। অর্থাৎ ০.১৩ ডেসিম্যাল জমি নিয়েই জট। সেই জট ছাড়ানো যায় কিনা, তা আজই বোঝা যাবে।