দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের কাদাজমিতে পায়ের ছাপ দেখে বাঘের আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে (Kultali)। বুধবার সকালের দিকে দেবীপুর দেউলবাড়ি এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসীদের নজরে পড়ে ছাপগুলি। মুহূর্তের মধ্যে ভয়ের আবহ। খবর পাঠানো হয় বনদপ্তরে। রায়দিঘির রেঞ্জার-সহ বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ছাপগুলি পরীক্ষা করে জানান, সেগুলি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger)। ফলে আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঘটিকে ধরতে জাল দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেছেন বনকর্মীরা।
কুলতলি থানার দেবীপুর দেউলবাড়ি এলাকা বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পান। মুহূর্তের মধ্যেই পেটকুলচাঁদ-সহ পাশের সাবুর আলিকাটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই বনদপ্তরের রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত কুলতলি বিট অফিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেই ছাপ পরীক্ষা করে বাঘের বলে চিহ্নিত করেন। এরপর ঘটনাস্থলে চলে যান রায়দিঘির রেঞ্জার-সহ অন্যান্য বন কর্মীরা। বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে এলাকায় যাতে কোনওরকম আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সেই কারণে ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিশও।
[আরও পড়ুন: বঙ্গে ফের লাফিয়ে বাড়ল করোনা সংক্রমণ, কলকাতা-সহ ২ জেলায় একদিনে আক্রান্ত শতাধিক]
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ওই এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখেই বাঘের অবস্থান জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। বনদপ্তর সূত্রে খবর, আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকে বাঘটি কোনওভাবে বেরিয়ে চলে এসেছিল পেটকুলচাঁদ এলাকায়। পায়ের ছাপ (Footprints)অনুযায়ী পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাঘের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। চারিদিকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। আতঙ্কে সন্ধের পর থেকে গৃহবন্দি মানুষজন। রাতপাহারায় থাকতে পারেন বনকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর কাটা মুন্ডু হাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যুবক! ভিডিও দেখে শিউরে উঠল বিশ্ব]
এর আগে ডিসেম্বরে এই কুলতলিতেই লোকালয়ে ঢুকে পড়া রয়্যাল বেঙ্গলকে বাগে আনতে হিমশিম দশা হয়েছিল বনকর্মীদের। লোকালয়ে ঘুরে বেড়িয়ে, মানুষজনের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় তিনদিনের চেষ্টায় বাঘটি ধরা পড়ে। তারপর পাথরপ্রতিমাতে একাধিকবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা বাঘকে নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর ফের কুলতলি। সুন্দরবন লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসব এলাকায় প্রায়শয়ই দক্ষিণরায়ের দর্শন নিয়ে নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা।