shono
Advertisement

Breaking News

মূর্তি নয়, দুর্গার কাটা মুণ্ড পুজো হয় এই গ্রামে

ঠাকুর ভাসানের আগেই বা কেন চলে কিছুক্ষণ প্রতীক্ষার পালা? The post মূর্তি নয়, দুর্গার কাটা মুণ্ড পুজো হয় এই গ্রামে appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:05 PM Sep 24, 2016Updated: 03:10 PM Sep 24, 2016

ধীমান রায়: দেবীর পূর্ণাবয়ব নেই৷ নেই সন্তান-সন্ততিদের মূর্তি। নেই বাহনেরাও৷ কেতুগ্রামের গোমাইগ্রামে রায় পরিবারে দেবীদুর্গার শুধু কাটা মুণ্ড পুজো হয়৷ প্রায় ৩৫০ বছর ধরে এই বিরল মূর্তি পুজো হয়ে আসছে রায় বংশে৷ বনেদি পরিবারের এই পুজো ঘিরেই মেতে ওঠে পুরো গ্রাম৷
পরিবারের প্রবীণ সদস্য শক্তিকুমার রায় জানান, পূর্বে তাঁদের বাড়ি ছিল আউশগ্রামের দিগনগর গ্রামে৷ এক পূর্বপুরুষ কর্মসূত্রে গোমাইগ্রামে আসেন৷ এলাকার পরিবেশ তাঁর খুব পছন্দ হয়ে যায়৷ ঘর-বাড়ি করে এখানেই বসবাস শুরু করেন৷ দিগনগর গ্রামে তাঁদের কুলদেবী দুর্গার একই ধরনের মুণ্ড পুজো হয়৷ শক্তিকুমার রায়ের কথায়, “আমাদের পূর্বপুরুষ বসবাস শুরু করার পর তাঁর স্বপ্নাদেশ হয়৷ দেবীর নির্দেশে তিনি গোমাইগ্রামে একই আদলে দেবী পুজো শুরু করেন৷”
রায় পরিবারে শাক্তমতে পুজো হয়৷ সপ্তমীতে চালকুমড়ো, অষ্টমীতে ছাগবলি হয়৷ তবে এ পুজোর আরও একটি প্রথা উল্লেখ না করলেই নয়- এখানে চণ্ডীপাঠ করা হয় না৷ রায়বাড়িতে অরন্ধন দিবস পালিত হয়৷ শোভাযাত্রা সহকারে দেবীর মুখ দোলায় চাপিয়ে পুরো গ্রাম ঘোরানো হয়৷ গ্রামবাসীরাও শোভাযাত্রায় অংশ নেয়৷ শোভাযাত্রা শেষে দোলাটি নামানো হয় ঠাকুর পুকুরের পাড়ে৷ তারপর বাজনা থামিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন সবাই৷ কেন?
জানা যায়, আগে দেবীর বিসর্জনের মুহূর্তে পুকুরের উপরে পাক খেয়ে কোনও একটি গাছে এসে বসত শঙ্খচিল৷ পরিবারের সদস্য গোবিন্দ রায়ের কথায়, “মাঝে মধ্যে এখনও শঙ্খচিল দেখা যায়৷ সব বছর না দেখা গেলেও প্রথা মেনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়৷ তার পর দেবীর ভাসান হয়৷

Advertisement

ছবি: জয়ন্ত দাস

The post মূর্তি নয়, দুর্গার কাটা মুণ্ড পুজো হয় এই গ্রামে appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement