দেবব্রত মণ্ডল, কুলতলি: শেষ ‘বাঘবন্দি খেলা’। তর্জন-গর্জনের পর অবশেষে জালে রয়্যাল বেঙ্গল (Royal Bengal Tiger)। টানা ৬ দিন কুলতলি এলাকায় ত্রাস ছড়ানোর পর মঙ্গলবার সকালে বনদপ্তরের ছোড়া ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হল বাঘটি। বন্দি করার পরও দরজা খোলা থাকায় খাঁচা থেকে ফের বেরিয়ে যায় সে। বেশ কিছুক্ষণ তার গতিবিধির দিকে নজর রাখে বনদপ্তরের কর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হওয়ার পর তাকে খাঁচায় ঢোকানো হয়। ঝড়খালি চিকিৎসাকেন্দ্রে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গত ৬ দিন ধরে কুলতলি এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে দক্ষিণরায়। গর্জনে কেঁপে উঠেছে গোটা এলাকা। রয়্যাল বেঙ্গলের হামলায় জখম হয়েছে এলাকাবাসী-ও। তবু তাকে খাঁচাবন্দির চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে বনদপ্তর। সোমবার বিকেল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে চলছিল নজরদারি। কিন্তু সাফল্য আসেনি।
[আরও পড়ুন: COVID-19: করোনা আক্রান্ত BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভরতি হাসপাতালে]
এদিন সকালে বনকর্মীরা ফের হাজির হন এলাকায়। ছিলেন দমকল কর্মীরাও। তাঁরা হোসপাইপ দিয়ে জঙ্গলে জল দিতে শুরু করেন। এমনভাবে জল দেওয়া হচ্ছিল যাতে বাঘটি বনদপ্তরের খাঁচার দিকে চলে আসে। সেই সময় বনকর্মীদের আরেকটি দল হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে জঙ্গলে ঢোকে। সেই লাঠি দিয়ে গাছপালায় ক্রমাগত আঘাত করায় বাঘটি ভয় পেয়ে যায়। গর্জন শুরু করে। শুরু করে দৌড়দৌড়ি।
তার পরই দক্ষিণরায়কে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ে বনকর্মীরা। সূত্রে খবর, দুটি গুলি ছোড়া হয়েছে। তাতেই কাবু হয় সে। পিয়ালি নদীর কাছে পাতা খাঁচায় এসে পরে। কিন্তু দরজা খোলা থাকায় ফের পিঠটান দেয়। তবে ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাব থাকায় বেশিদূর যেতে পারেনি। পরে তাকে খাঁচায় ঢুকিয়ে লঞ্চে চাপিয়ে ঝড়খালিতে নিয়ে আসা হয়।
বাঘটি সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে পড়লে তবেই তাকে জালবন্দি করে লঞ্চে তোলা হবে। তার পর বনদপ্তরের পশু চিকিৎসকেরা তার শারীরিক পরীক্ষা করবে। তবেই তাকে জঙ্গলে ছাড়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
[আরও পড়ুন: ফিরে দেখা ২০২১: করোনাকালে সম্পত্তি বাড়ল কাদের? ‘বাড়ন্ত’ কার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার?]