shono
Advertisement

Breaking News

ভুয়ো কোটায় ডাক্তারিতে ভরতির নামে ২৫ লক্ষ টাকা জালিয়াতি! গ্রেপ্তার চক্রের মূল

চক্রের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
Posted: 10:11 PM Nov 24, 2020Updated: 10:11 PM Nov 24, 2020

অর্ণব আইচ: ভুয়ো কেন্দ্রীয় কোটার নাম করে মেডিক্যালে ভরতির টোপ। ছেলেকে ডাক্তারিতে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফাঁদ পেতে এক মহিলা অধ্যাপকের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জালিয়াতি চক্রের মাথা। মঙ্গলবার অনীশ বিশ্বাস নামে ওই আদালতে তোলা হলে তার জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। ধৃতকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

এর আগেও ডাক্তারিতে ভরতির নাম করে জালিয়াতির ফাঁদ পেতেছিল একাধিক চক্র। তারা কখনও এক বা কখনও একাধিক ছাত্র বা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু কোনও কেন্দ্রীয় কোটার নাম করে ডাক্তারিতে কাউকে ভরতি করানোর পরিকল্পনা অনেকটাই অভিনব বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। যাঁরাই অভিযুক্তর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাঁদেরই বলা হয়েছে যে, কোটায় কিছু সিট রাখা আছে, যাতে একমাত্র এই সংস্থাই ভরতি করাতে পারে। তার জন্য এই সংস্থাকে দিল্লি থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনকী, যাঁরা তাদের অফিসে যেতেন, তাঁদের কিছু ভুয়া নথিপত্রও দেখানো হত।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির অফিস মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায়। কয়েক মাস আগে খবরের কাগজে তিনি বিজ্ঞাপন দেন। তাতে বলা হয়, ‘সেন্ট্রাল পুল কোটা’ নামের একটি প্রকল্পে কোনও একটি মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করার ব্যবস্থা করবে এই সংস্থাটি। সেই ফাঁদে পা দেন বেহালার একটি কলেজের অধ্যাপিকা। তিনি তাঁর ছেলেকে ডাক্তারিতে ভরতি করানোর জন্য ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অভিযুক্ত অনীশ জানান, তাঁর ছেলেকে এই কোটা বা প্রকল্পে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু তার জন্য ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে তাঁকে। তাড়াতাড়ি ‘কোটা’ বুক না করলে অন্য কেউ ভরতি হবেন, তা তাকে বলা হয়। তাই তিনি নিজের জমানো টাকা থেকে ১৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা এক পরিচিতর কাছ থেকে ধার নেন। ওই টাকা দেওয়ার পর অনীশ তাকে দিল্লির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নথিপত্র পাঠায়। এগুলি দেখে ওই মহিলা অধ্যাপকের সন্দেহ হয়। তিনি সেগুলি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরে পাঠান।

[আরও পড়ুন: দূরপাল্লার ট্রেন কম থাকায় টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে, হাওড়া-শিয়ালদহ এখন দালালদের স্বর্গরাজ্য]

সম্প্রতি তাকে জানানো হয় যে, সেগুলি ভুয়ো। এর পর ওই মহিলা অধ্যাপিকা অনীশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত পাননি। ওই মহিলা হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়েন্দা পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দাদের ধারণা, এই চক্রটি কলকাতা ও তার আশপাশের একাধিক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে এই পদ্ধতিতেই টাকা হাতিয়েছে। কিন্তু অনেক সময়ই টাকা ফেরত পেতে পারেন, সেই আশায় অভিভাবকরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন না। এই চক্রটি আরও কতজনকে জালিয়াতির জালে ফেলেছে, তা জানতে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘ঐক্যবদ্ধভাবেই আগামী নির্বাচনে লড়ব’, শুভেন্দুর দল ছাড়ার জল্পনা ওড়ালেন সৌগত রায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement