বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শান্তিপুরে মৎস্যজীবীর জালে উঠল ২৫ কেজির কাতলা মাছ। মাছ নিয়ে মৎস্যজীবীরা ভাগীরথীর বটতলা ঘাটে উঠতেই বিশাল আকার মাছ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। পরে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় মাছটিকে।
নদিয়ার শান্তিপুরের বেলঘড়িয়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গবারচর বটতলা এলাকার বাসিন্দা বছর ৬৩-এর মাধাই বিশ্বাস। ছেলেবেলা থেকেই মাছ ধরেন তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার ভোরে মাছ ধরতে বের হন মাধাইবাবু। সেই সময় নৌকার সঙ্গে থাকা জালে আটকে একটি মাছ। কিন্তু তখনও তিনি বুঝতে পারেননি যে জালে এত বিশাল একটি মাছ আটকেছে। এরপরই অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় মাছটি তুলতেই চক্ষুচড়কগাছ সকলের। কোনওক্রমে মাছটি নিয়ে বটতলা ঘাটে পৌঁছন মৎস্যজীবীরা। মাছটির খবর লোকমুখে চাউর হতেই মাছটি দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী বউমা! তরুণীর উপর অ্যাসিড হামলা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের]
এরপর সৎস্যজীবীরা মাছটিকে নিয়ে যায় গবারচর বাজারে। সেখানে ওজন করলে দেখা যায় মাছটির ওজন ২৫ কেজি ৪৭০ গ্রাম। অর্থাৎ প্রায় ২৬ কেজি। বাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে ওই মাছটিকে বিক্রি করেন মাধইবাবু-সহ ৪জন। এরপর ওই বাজারেই কেটে বিক্রি করা হয় মাছটি কিলো প্রতি ৭০০ টাকা দরে। প্রসঙ্গত, এর আগে একবার ১২ কেজির ভেটকি উঠেছিল মাধইবাবুর জালে। একবার ৫ কেজির কাতলাও উঠেছে, তাই বলে ২৫ কেজির কাতলা উঠতে পারে ভাবতেও পারেননি ওই মৎস্যজীবী।
প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণপদ রাহার কথায়, মাধাই ছোট থেকেই মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে। অভাবের সংসার। তাই এই মাছটি ওঠায় মাধাইয়ের আর্থিক সমস্যা কিছুটা মিটেছে। তাই খুব ভাল লাগছে। মাধাই বিশ্বাসের কথায়, “আমি ছোটো থেকেই মাছ ধরছি। আগে বিশাল এক ভেটকি মাছ উঠেছিল জালে। বড় কাতলাও উঠেছে। কিন্তু এতবড় কাতলা উঠবে ভাবতে পারিনি।” বিশাল আকার এই জালে চাক্ষুষ করে খুশি স্থানীয়রাও।
দেখুন ভিডিও:
The post মৎস্যজীবীর জালে ২৫ কেজির কাতলা, পেল্লায় মাছ দেখতে ভিড় স্থানীয়দের appeared first on Sangbad Pratidin.
