shono
Advertisement

ভাতারে TMC বিধায়কের বিরুদ্ধে ‘দূর হঠো’পোস্টার, নেপথ্যে কারা? ভিন্নমত বিধায়ক-ব্লক সভাপতির

বিধায়কের দাবি, সিপিএম-বিজেপির মিলিত চক্রান্ত এসব।
Posted: 12:06 PM Mar 20, 2023Updated: 12:09 PM Mar 20, 2023

ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kabach) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আগে ভাতারের বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর ছবি ও নাম দিয়ে ‘দূর হঠো’ পোস্টার ঘিরে রবিবার শোরগোল এলাকায়। বিধায়কের দাবি, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। তবে ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি এই পোস্টার বিতর্কে দলেরই একাংশকে দায়ী করছেন। এলাকায় ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর।

Advertisement

রবিবার ভাতারের (Bhatar) বনপাশ অঞ্চল এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ-সহ অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব এবং দলীয় কর্মীরা। বনপাশ অঞ্চলের কামারপাড়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী এলোকেশী মাতার মন্দিরে পুজো দিয়ে বিধায়ক তাঁর কর্মসূচি শুরু করেন। কামারপাড়া গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় ঘোরেন। আশপাশের গ্রামেও যান। তবে কামারপাড়া গ্রামেরই কয়েকটি জায়গায় বিধায়কের ছবি ছাপা কয়েকটি পোস্টার (Poster) চোখে পড়ে তাঁর।

[আরও পড়ুন: সশরীরে সিবিআই হাজিরা এড়ালেন ‘কালীঘাটের কাকু’, আইনজীবী মারফত পাঠালেন নথিপত্র]

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শনিবার রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এসব পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়ে যান। পোস্টারে লেখা, “মানগোবিন্দ অধিকারী দূর হটো। ৩৫ টি গরিব পরিবারের কাছ থেকে জমি কেড়ে বড়লোককে বিলিয়ে দেওয়া কার স্বার্থে।” গতবছর জুন মাসে জমিদখলের ঘটনা ঘিরে বনপাশ অঞ্চলের মোহনপুর গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গ্রামডিহি মৌজায় প্রায় ১০ বিঘা খাসজমি নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে আহত হন দু’পক্ষের প্রায় ১২ জন। তখন উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে ওই জমিগুলি প্রশাসনের তত্বাবধানে রয়েছে। সূত্রের খবর সেই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর চলছে।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি বঙ্গ বিজেপির বিরোধী গোষ্ঠীর]

ভাতার ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, “দু-একজন রয়েছে যারা একসময় দলকে ভাঙিয়ে করেকম্মে খাচ্ছিল। বনপাশ এলাকায় অনেক খাসজমি বেদখল হয়েছিল। বিধায়ক সেগুলি উদ্যোগ নিয়ে উদ্ধার করে সরকারের কাছে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। তাই মনে হয় কয়েকজনের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারাই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছে।” তবে তাঁর সঙ্গে একমত নন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “আমি পোস্টার দেখিনি। তবে মনে হয়, এসব সিপিএম ও বিজেপির চক্রান্ত।” ভাতার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা ভারতীয় খাদ্য নিগমের সদস্য মহেন্দ্রনাথ কোঁয়ার বলেন, “এর মধ্যে বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গণ্ডগোল হতে পারে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার