নন্দন দত্ত, বীরভূম: কয়লা মাফিয়া ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হল এক পুলিশকর্মী। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমে কাকরতলা থানা এলাকায়। ওইদিন দুই কয়লা মাফিয়া গোষ্ঠীর ঝামেলার মধ্যে পড়ে যান কনস্টেবল অরূপ মান্না। কয়লা মাফিয়াদের ছোড়া গুলি তার বাঁ পায়ে লাগে। ঘটনার রাতেই তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
[সল্টলেক থেকে রহস্যজনকভাবে অপহৃত ছাত্রী]
প্রসঙ্গত, কাকরতলা থানা এলাকার বড়রা গ্রামে ঘটে এই ঘটনাটি। পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই শুক্রবার রাত থেকেই পুলিশ ওই গ্রামে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু অভিযুক্তদের কোনও খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কাকরতলা থানা এলাকার বড়কোলা খোলামুখ খনি থেকে বহুদিন ধরেই অবৈধভাবে কয়লা পাচার হয়ে আসছে। কিন্তু সেই কয়লা যন্ত্রচালিত ভ্যানে নাকি গরুর গাড়িতে পাচার হবে সে নিয়ে দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছিল। শুক্রবার রাতে এক গোষ্ঠীর নেতা শেখ কালোকে পুলিশ তাদের গাড়িতে চাপিয়ে এলাকায় নিয়ে যায়। তার গোষ্ঠীর লোকেদের সন্দেহ হয়, কালোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপরই পুলিশের গাড়ির উপর চড়াও হয় তারা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িটিতে। শুরু হয়ে যায় মাফিয়া-পুলিশ সংঘর্ষ। মাফিয়াদের গুলিতে কনস্টেবল অরূপ মান্না জখম হন। গুলি এসে লাগে তাঁর বাঁ পায়ে। এরপর পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুষ্কৃতীরা বোমা ফাটাতে ফাটাতে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। সূত্রের খবর, ওই পুলিশকর্মীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুর থেকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
[বছর ঘুরলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না ‘অভিশপ্ত’ বিবেকানন্দ উড়ালপুল]
The post গভীর রাতে কয়লা মাফিয়া ও পুলিশের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল appeared first on Sangbad Pratidin.
