সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: অযোধ্যা পাহাড়ের কালো পিচ রাস্তায় দুলকি চালে হেঁটে বেড়াচ্ছে হায়না। করোনাকালে, লকডাউনে এমন ছবির দেখা মিলেছিল পুরুলিয়ার ঝালদার পাহাড়তলি এলাকায়। আর এবার সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি। পর্যটকদের ক্যামেরায় বন্দি।
[আরও পড়ুন: মোদির পরে রাহুল, ভারত জোড়ো যাত্রায় কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ঢুকল যুবক]
পর্যটনের মরশুমে অযোধ্যা হিলটপ থেকে মুরগুমা যাওয়ার পাহাড়ি রাস্তায় দেখা দিয়েছে ওই বন্যপ্রাণ। যা দেখে উল্লসিত পর্যটকরা। খুশি পুরুলিয়া বনবিভাগও। পুরুলিয়া বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কংসাবতী দক্ষিণের ডিএফওঅসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অযোধ্যা পাহাড়ে জঙ্গল বাড়ছে বলেই বন্যপ্রাণরা নিশ্চিন্তে ডেরা বেঁধেছে। পাহাড়ি রাস্তাতেও হায়না হেঁটে বেড়াচ্ছে। এর থেকে বোঝা যায় বন্যপ্রাণ নিয়ে মানুষ কতটা সচেতন। আমাদের ধারাবাহিক প্রচারের এটা সুফল।”
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ শ্রেণিতে হায়না তিন নম্বরে রয়েছে। যে এলাকায় হায়নাটিকে দেখা গিয়েছে, সেটি কোটশিলা বনাঞ্চলের মরগুমা বিটের আওতায়। অযোধ্যা পাহাড়ের এই এলাকায় হায়নার হেঁটে বেড়ানোর খবরে খুশি ওই বনাঞ্চলের তৎকালীন রেঞ্জার সোমা সরকার দাসও। তাঁর কথায়, “আমরা সেই সময় জঙ্গল রক্ষার্থে দারুণভাবে প্রচার করেছিলাম। এই সুফল এখন হাতেনাতে মিলছে।’’
[আরও পড়ুন: সুকান্তকে থামিয়ে বাংলার বিজেপি কর্মীদের প্রশংসায় মোদি, দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা?]
এই কোটশিলা বনাঞ্চলেই রয়েছে জোড়া চিতা। হেঁটে বেড়ানোর ছবি যিনি ক্যামেরাবন্দি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের সেই পর্যটক শালিনী মিত্র বলেন, “মুরগুমার রাস্তায় হায়না দেখে আমি অভিভূত। কি যে খুশি হয়েছি বলে বোঝাতে পারব না।”
ভুলতে পারছেন না পর্যটকদের নিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া গাড়ি চালক বলরামপুরের চুটকিডি গ্রামের বাসিন্দা সনাতন বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মুরগুমার
সুইসাইডাল পয়েন্ট পার হওয়ার পরে হায়না আমরা দেখতে পাই। তখন আমরা বাঘমুন্ডির ডাভা গ্রামের কাছে কটেজে ফিরছিলাম। বিকাল চারটে হবে ।”
