সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নিঃসন্তান বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি। তাঁদের এই সহযোগিতায় আপ্লুত বৃদ্ধা।
পূ্র্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা দিপালী দে। বয়স ৮২ পেরিয়েছে। নিঃসন্তান হওয়ায় একাই থাকেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশীদের কাছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের কথা শুনলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেখানে যেতে পারেননি। এদিকে তাঁর হাতের অস্ত্রোপচার করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সামর্থ্য নেই। কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে কার্যত দেবদূতের মতো তাঁর পাশে দাঁড়ালেন পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পাল। তাঁর উদ্যোগেই বুধবার পঞ্চায়েত সহায়ক শিবশংকর ভট্টাচার্য ও সোমশুভ্র মুখোপাধ্যায় বাড়ি গিয়ে বৃদ্ধার হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেন। আগামী সোমবার দিপালীদেবীর হাতের অস্ত্রোপচার হবে।
[আরও পড়ুন: ‘সারাবছর লুঠপাট করে ভগবানকে ঘুষ দিলে হবে?’, মহাযজ্ঞ নিয়ে অনুব্রতকে খোঁচা দিলীপের]
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগে অতি দ্রুততার সঙ্গে বেশ কয়েকজনের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গত ৫ জানুয়ারি দুর্গাপুরের বাসিন্দা তপন দেবকে ভরতি করা হয়েছিল মানকর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। তবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে না গিয়ে তাঁরা যান এক নার্সিংহোমে। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, তপন হৃদরোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার খরচ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। ক্ষেতমজুর তপনের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে ৭ জানুয়ারি মানকর পঞ্চায়েতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন করেন তপনবাবুর স্ত্রী বিনীতা। পরবর্তীতে পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে তপনবাবুর অসুস্থতার বিষয়টি শোনেন গলসি ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও মৃণ্ময় দাস। এরপরই তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করে দ্রুত তপনবাবুর কার্ড তৈরির নির্দেশ দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তপনবাবুর স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।