রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বর্ষশেষের আনন্দ উপভোগে একদিনের জন্য যদি দিঘায় ছুটি কাটাতে চান তবে বিপাকে পড়তে পারেন। কারণ ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা বুকিং না নিলে দিঘায় মিলছে না হোটেলের ঘর! ফলে হোটেল পেতে দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে পর্যটকদের। অভিযোগ, দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলে ঘর বুকিং নিলে তবেই ঘর মিলছে। তার বাইরে একদিনের জন্যে অধিকাংশ হোটেল ঘর ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা।
এবার সপ্তাহান্তের ছুটি অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর পড়েছে শনিবার। আর ৩১ ডিসেম্বর রবিবার। ১ জানুয়ারি পড়েছে সোমবার। বছরের শুরুর দিনে অফিস খোলা থাকায় অধিকাংশ পর্যটক ফিরে যাবেন। তাই হোটেল ব্যবসায়ীরা নিজেদের মুনাফার জন্যে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা হোটেল বুকিং ছাড়া একদিনের বুকিং দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। মন্দারমণি পর্যটন কেন্দ্রের অধিকাংশ হোটেল আবার প্যাকেজ নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। বর্ষবরণের রাতে গালা পার্টির সঙ্গে খাওয়া, থাকা সবটাই থাকছে প্যাকেজের মধ্যে। প্যাকেজের মূল্য মাথাপিছু শুরু হচ্ছে ২৫০০-৩০০০ টাকা থেকে। হোটেল অনুযায়ী মাথাপিছু খরচ বাড়বে। দিঘা ও তাজপুর পর্যটন কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছে। একদিনের জন্য হোটেল বুকিং নিচ্ছে না অধিকাংশ হোটেল।
[আরও পড়ুন: প্রেম প্রস্তাবে ‘না’, দলীয় কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রনেত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ TMCP নেতার]
হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, শনিবার একদিনের জন্যে হোটেল বুকিং নিলে বর্ষবরণের দিন ফাঁকা হোটেল থাকবে। তাই একদিনের বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিঘা (Digha) হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “আমার কাছে একদিনের হোটেল বুকিং নেওয়া হচ্ছে না বলে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে কিছু ব্যবসায়ী ব্যবসার স্বার্থে এটা করেছেন। কারণ, একদিনের হোটেল বুকিং দিলে বর্ষবরণের রাতে হোটেল ফাঁকা থেকে যাবে। এদিকে নিউ ও ওল্ড দিঘার বেশ কিছু হোটেল মাথাপিছু প্যাকেজ করেছে, তাই সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে।” মন্দারমণি হোটেল সংগঠনের পক্ষে সন্দীপন বিশ্বাস বলেন, “মন্দারমণিতে অধিকাংশ হোটেলে বর্ষবরণের রাতে গান বাজনার আসর বসছে। সকলেই প্রায় প্যাকেজ করেছে।”
ইতিমধ্যে সৈকত নগরীকে আরও সুন্দর করতে ব্যাপকভাবে সাজাতে শুরু করেছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। পর্যটকদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সেই কারণে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ, রামনগর ১ ও ২ পঞ্চায়েত সমিতি, হোটেল অ্যাসোসিয়েশন, হকার অ্যাসোসিয়েশন-সহ পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে সমন্বয় বৈঠকও হয়। বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি নজরদারির জন্য মহিলা স্কোয়াড ‘উইনার্স টিম’ ইতিমধ্যে স্কুটিতে করে টহল দিতে শুরু করেছে।