সুব্রত বিশ্বাস: অধিকাংশ পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়েই খুলল হাওড়া স্টেশনের ফুডপ্লাজা। কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এই ফুডপ্লাজা। বুধবার ফুডপ্লাজাটি খুলতেই ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা সেখানে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে আইআরসিটিসির বকেয়া টাকা ফুডপ্লাজা কর্তৃপক্ষ এখনও মেটায়নি বলে অভিযোগ। ফলে দীর্ঘদিন পর ফুডপ্লাজাটি খুললেও বিতর্ক রয়েই গেল।
অভিযোগ, ফুডপ্লাজার পুরনো ৭৫ শতাংশ কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে এদিন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কোভিড পরিস্থিতির আগে ফুডপ্লাজায় দুশোর বেশি কর্মী থাকলেও এখন মাত্র ৫০ জনের মতো কর্মী নিয়ে কাজ চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যাঁদের মধ্যে আবার দশ শতাংশ নতুন কর্মী। উল্লেখ্য, এ বিষয় নিয়ে এর আগেও হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ফুডপ্লাজার কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: বামেদের নীতি ভুল ছিল, কিন্তু ভাল কাজও করেছে: শুভেন্দু অধিকারী]
একদিকে কর্মী ছাঁটাই অন্যদিকে বকেয়া টাকা না মিটিয়ে ফুডপ্লাজা খোলায় অসন্তুষ্ট আইআরসিটিসিও। সংস্থার গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান, “টাকা না মেটালে ফুডপ্লাজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” ফুডপ্লাজার পাশে একটি রোল সেন্টার খোলা হয়েছে। যা বেআইনি ভাবে তৈরি বলে জানিয়েছে রেল। যেখানে রোল সেন্টার তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জায়গাটির অনুমোদন নেই।
প্রসঙ্গত, ফুডপ্লাজার জন্য বার্ষিক ৪.৭৫ কোটি টাকা ভাড়া দেওয়া হয় আইআরসিটিসিকে। সঙ্গে দিতে হয় কর। ফুডপ্লাজা কর্তৃপক্ষ প্লাজার সঙ্গে একটি বাড়তি ৩৫ বর্গ মিটার জুস, আইসক্রিম বিক্রির জন্য ব্যবহার করে। এজন্য বাড়তি লাইসেন্স দেয় না। আইআরসিটিসি ওই জায়গার জন্য বাড়তি ১.৭৫ কোটি টাকা দাবি করে। যদিও মেসার্স রমেন ডেকার তরফে স্পষ্ট করে হয়েছে বাড়তি জায়গা তাঁদের লিজ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।
[আরও পড়ুন: মিলল না পুলিশের অনুমতি, বর্ধমানে নাড্ডার রোড শো’র রুট বদল করে তোপ বিজেপির]
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ফুডপ্লাজাতে আগুন লাগে। এরপর নতুন প্ল্যানে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের বের হওয়ার (Emergency Exit) ফুড প্লাজার পাশে জায়গা দেওয়া হয়। সেখানেই পরে তৈরি হয়েছে বিতর্কিত রোল কর্নার । হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বুধবার ফুডপ্লাজাটি খুলতে খুব ভিড় হয়নি সেখানে। প্রায় তিনশোজন ফুডপ্লাজায় এসেছিলেন।