শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ইংরেজিতে ২১ পেয়ে তিনিও ‘টুয়েলভথ ফেল’। আইপিএস (IPS) অফিসার মনোজ শর্মার জীবন কাহিনিকে ‘রূপোলি পর্দা’য় তুলে ধরে দেশ জুড়ে এখন চর্চায় বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমাটি। কিন্তু এসবের আড়ালে থাকা আরও এক আইপিএস অফিসারের জীবন কাহিনিও কম বর্ণময় নয়। বরং তিনিই হলেন রিয়েল লাইফের ‘টুয়েলভথ ফেল’ অফিসার। ভাবছেন তো, কে এমন নজির রেখেছেন? জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার (SP, Jalpaiguri) খন্ড বহালে উমেশ গণপত।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মাহিরাভনি গ্রামের বাসিন্দা খন্ড বহালে উমেশ গণপত দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ২১ পেয়েছিলেন। সেই কারণে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পড়াশোনা ছেড়ে বাবার সঙ্গে দুধ বিক্রি শুরু করেন, মন দেন চাষ-আবাদে। ভেবে নিয়েছিলেন, এটাই তাঁর ভবিতব্য। কিন্তু নিজের ইচ্ছের জোরে নিজেই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘আমার কফিনে পেরেক পুঁততে গিয়েছিল’, ছেলে আরিয়ানের মাদককাণ্ডে বিস্ফোরক শাহরুখ!]
দুবছরের মাথায় দুধ বিক্রি, চাষাবাদ ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ান উমেশ গণপত। পড়াশোনায় মন দেন। ধাপে ধাপে দ্বাদশ শ্রেণি, কলেজ পেরিয়ে সোজা সিভিল সার্ভিস (Civil Service) পরীক্ষায় বসেন। আর তাতে উত্তীর্ণ হয়ে আইপিএস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। আর আজ জলপাইগুড়ি পুলিশের এসপি-র দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। প্রশাসনিক কাজ সামলে সময় পেলেই গণপত চলে যান ছাত্রছাত্রীদের কাছে। নিজের জীবনের ব্যর্থতা থেকে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার গল্প শোনান। ছোটখাটো ব্যর্থতার জন্য হতাশ না হয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন জলপাইগুড়ির এসপি।
দেখুন ভিডিও: