ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কোভিড (Covid-19) পরিস্থিতিতে ভোট করিয়েছে কমিশন। লাটে উঠেছিল কোভিডবিধি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। বিচারপতি বলেছিলেন, “কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা উচিৎ।” এবার সেই পথেই হাঁটলেন খড়দহের মৃত তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহা।
বুধবার বিকেলে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন নন্দিতাদেবী। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন এবং কমিশনে অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করলেন তিনি। যদিও এ নিয়ে কমিশনের (Election Commission) কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
[আরও পড়ুন : চিকিৎসায় গাফিলতিতে করোনা উপসর্গযুক্তের মৃত্যু! হাসপাতাল ভাঙচুর, রণক্ষেত্র কেতুগ্রাম]
নন্দিতাদেবী অভিযোগপত্রে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্য কমিশনকেই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, দেশজুড়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই বাংলায় আট দফা ভোটের আয়োজন করেছিল কমিশন। শেষ কয়েক দফা ভোট একসঙ্গে করার বারবার আবেদন করেছে তৃণমূল। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি কমিশন। এর পর প্রচারে বেরিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কাজল সিনহার (Kajal Sinha)। সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী কমিশন।”
ষষ্ঠদফা ভোটের আগের দিন অর্থাৎ ২১ তারিখ সকালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate)। সেদিনই বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। এই ক’দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। টানা তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর রবিবার সকাল পৌনে দশটায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।ইতিপূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের দুই প্রার্থী। এর পর কমিশনের বিরুদ্ধে সরাসরি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করলেন কাজল সিনহার স্ত্রী।