নিরুফা খাতুন: প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বঙ্গে ঢুকে পড়ল বর্ষা। সোমবারই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এদিকে কালবৈশাখীতে ভিজল কলকাতা। যদিও দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে বলেই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
সোমবার আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এদিন সন্ধে ৫ টা ৪১ মিনিটে কলকাতার আলিপুরে কালবৈশাখী হয়। প্রতি ঘণ্টায় ৫৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে কালবৈশাখী ঝড় স্থায়ী হয় ৩ মিনিট। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার নির্ধারিত সময় ১১ই জুন হলেও কবে তা আসবে, এখনও নিশ্চিত নয় আবহাওয়া দপ্তর। বরং দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। আর বাকি জেলাতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হলেও এখনই পিছু ছাড়বে না অস্বস্তি। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলার কথা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। বাকি জেলাগুলিতে কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাসই দিলেন আবহবিদরা
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস-সিপিএমের প্রার্থী ও নেতা-সহ ৭ জনকে অপহরণ, আটকে রেখে বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় TMC]
মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। মঙ্গলবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে সাধারণত বর্ষা ঢোকে ৭ জুন। তবে এবার নির্ধারিত সময়ের পাঁচদিন পর বর্ষা এল। একইসঙ্গে বর্ষা পা রাখল উত্তরবঙ্গ, সিকিম এবং বিহারে। আগামী পাঁচদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গে। প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু এলাকায়। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী ল্যান্ডস্লাইডও হতে পারে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়ে রাখল হাওয়া অফিস।
