কল্যাণ চন্দ্র ও শাহজাদ হোসেন: উপনির্বাচনে তৃণমূলের হারের পরই সাগরদিঘিতে (Sagardighi) বন্ধ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই এই ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের (Congress)। আর এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সাগরদিঘির বিডিও অফিসের সামনে ধরনায় বসেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা। সেখানে কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে দেখা যায়নি। তাঁদের দাবি, ভোটে জিততে না পেরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব।
গত ২ মার্চ সাগরদিঘী উপনির্বাচনে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। কংগ্রেসের অভিযোগ, জয়ের পর থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুদান বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাগরদিঘিতে। কংগ্রেসের গুরুতর অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে সাগরদিঘি বিধানসভার সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। এর প্ৰতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন করেছেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)-সহ তাঁর অনুগামীরা। বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের গরহাজিরা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। তাঁর আপ্ত সহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, বাড়ির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বিধায়ক। তাই ধরনায় যেতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল, আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে কী বললেন পার্থ?]
যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। সাগরদিঘির ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, “কংগ্রেসের আন্দোলন যুক্তিহীন। ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা অনেকে পেয়ে গিয়েছেন। যাদের বাকি রয়েছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “কংগ্রেস যদি আন্দোলন করে তবে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে করুন। একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনরা টাকা চেয়ে করুক। কিন্তু কংগ্রেস সেই আন্দোলন করবে না। কারণ সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত হয়েছিল।”