সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে এথিক্স কমিটি সিলমোহর দেওয়ার পরই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবারই তিনি বলেছিলেন, ”আমার সাংসদ পদ বাতিল হলেও পরেরবার দ্বিগুণ ভোটে জিতে ফিরবই।” আর শুক্রবার X হ্যান্ডলে তিনি আরও হুঙ্কার দিয়ে বললেন, ”আমি কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) থেকে আবার দাঁড়াব এবং দ্বিগুণ ব্যবধানে জিতব।” আদানির নাম করেই তাঁর পোস্ট, ”দয়া করে বলে বেড়াবেন না আমার টিকিটটা এবার কাটা যাচ্ছে।”
টাকার বদলে সংসদে প্রশ্ন ইস্যুতে মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) উপর যতখানি চাপ তৈরি হয়েছে, তিনিও পালটা নিজের লড়াই জারি রেখেছেন। অভিযোগও তুলেছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও গলা ফাটালেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। টাকা নিয়ে আদানি বিরোধী প্রশ্ন তোলার অভিযোগে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করা হয়েছে, সেই আদানির নাম করেই স্পষ্ট বললেন, আমার নাম এবার বাদ যাবে, ”এনিয়ে বলে বলে সময় নষ্ট করবেন না। আমি কৃষ্ণনগর থেকে আবার দাঁড়াব এবং দ্বিগুণ ব্যবধানে জিতব।”
[আরও পড়়ুন: ‘টাকা নিয়ে সেটিং, ধর্মে ধর্মে বিভেদ’ নিয়ে তোপ, অভিষেকের নিশানায় নওশাদ?]
এই বিতর্কের মাঝে সোশাল মিডিয়ায় হাজার অস্ত্র প্রয়োগ করলেও সংবাদমাধ্যমের সরাসরি এই প্রথম মুখ খুললেন মহুয়া মৈত্র। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ”বিজেপি বোকা। আমাকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু আমার মনে হয়, আমি হিরো হচ্ছি। কারণ, জনগণ সব বুঝতে পারছে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে। এখনও আমার সাংসদ পদ বাতিল হয়নি। আগামী ৪ ডিসেম্বর সংসদে শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই বোঝা যাবে কী হয়। তবে আমার পদ আজ খারিজ করলে আগামীতে আবার ফিরবই।”
[আরও পড়়ুন: গাজার পাশাপাশি উত্তপ্ত লেবানন সীমান্ত, হেজবোল্লার হাতে খুন ইজরায়েলি অফিসার]
মহুয়া নিজে যতই কৃষ্ণনগর থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ করুন, এখনও প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোনও আলোচনা হয়নি বলে সূত্রের খবর। আর প্রার্থীপদ চূড়ান্ত হয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ক্রমেই। তাঁদের স্ক্রুটিনিতে কি পাশ করবেন মহুয়া মৈত্র? সে প্রশ্ন থাকছেই।