shono
Advertisement
Lok Sabha Election 2024

রায়গঞ্জের সভা থেকে পুলিশ সুপারকে 'হুমকি' মিঠুনের, কড়া আক্রমণে তৃণমূল

রায়গঞ্জের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রকাশ্য সভায় পরোক্ষে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
Posted: 09:35 AM Apr 20, 2024Updated: 11:20 AM Apr 20, 2024

স্টাফ রিপোর্টার, রায়গঞ্জ: বিজেপির ভোটপ্রচারে এসে রায়গঞ্জের পুলিশ সুপারকে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শুক্রবার রায়গঞ্জে পদ্মপ্রার্থীর সমর্থনে কালিয়াগঞ্জে এসে রায়গঞ্জের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রকাশ্য সভায় পরোক্ষে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

Advertisement

বিজেপির (BJP) প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতারের নাম করে তিনি বলেন, "সব দলের সঙ্গে সমানভাবে ব্যবহার করুন, কেন বলছি, কীসের জন্য বলছি, সেটা আপনি নিশ্চয় জানেন। কেননা কার্তিক জিতবেন এবং তারপর আবার আসব এখানে।"

[আরও পড়ুন: গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই ১৫টি দোকান]

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের উপর বারবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ। এখন রাজ্যের প্রশাসনকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। আর সেটাই এদিন দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর বিতর্কিত মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ শহরের আমবাগান ময়দানে রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, "আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, কার্তিক পাল জেতার পর আবার আমি আসব এখানে। কিন্তু ভোটপ্রচারে রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার দুরকম ব্যবহার করছেন। ঠিক নয়।"

[আরও পড়ুন: মে মাসের শুরুতেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, প্রস্তুত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও]

তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এক্স হ‌্যান্ডলে একহাত নিয়েছেন মিঠুনকে। তিনি বলেছেন, মিঠুন চক্রবর্তী অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। বিপুল টাকা নিয়েছেন। ফেরতের খবর নেই। গ্রেপ্তার হননি। সারদার টাকা নিয়েছেন। গ্রেপ্তার হননি। প্রথমে টাকা ফেরত দেননি। সিবিআই, ইডি হওয়ার পর টাকা ফেরত দিয়েছেন ভয়ে। দক্ষিণ ভারতে পরিবেশ নষ্ট করে বড় নির্মাণের অভিযোগ। বিনা অনুমোদনে স্কুল খুলে ছাত্রদের অথৈ জলে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় স্ত্রী, পুত্রের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও আছে এই অবস্থায় তদন্ত ও গ্রেপ্তার এড়াতে তৃণমূলের সৌজন্যে পাওয়া রাজ্যসভার সাংসদপদ হঠাৎ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কুৎসায় নেমেছেন। সুবিধাবাদী রাজনীতি করছেন। প্রচারে নেমে যা খুশি বলছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement