সুবীর দাস, কল্যাণী: রায়গঞ্জের বাসিন্দার মৃতদেহ উদ্ধার নদিয়ার হরিণঘাটায়! খুন নাকি অন্য কিছু? সেই বিষয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সাতসকালে ওই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ওই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। হরিণঘাটা থানার মোহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ওই এলাকার নিরাপত্তা দেখে। সেখান থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেহের কোথাও চোট-আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রক্তের ছাপও ছিল না। মৃতের শরীরে শীতের পোশাক ছিল। দেহে তল্লাশি চালাতেই পাওয়া যায় ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং একটি মোবাইল ফোন। পরিচয়পত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সান্টু দে সরকার (৩৬)। তিনি উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জের বাসিন্দা। আর সেখান থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে।
রায়গঞ্জ থেকে ওই ব্যক্তি কী করতে সেখানে গিয়েছিলেন? ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কোনও ব্যাগ, জিনিসপত্রও পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা ঘটলে শরীরে আঘাতের দাগ থাকত। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে তাও দেখা যাচ্ছে না। শীতের রাতে জাতীয় সড়কের উপরে কী করছিলেন ওই ব্যক্তি? নাকি অন্য কোথাও তিনি মারা গিয়েছেন। জাতীয় সড়কের ধারে ওই পরিত্যক্ত জায়গায় মৃতদেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে। সবকটি সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মোবাইল ফোন থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নম্বর পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির লোকদের হরিণঘাটা আসতে বলা হয়েছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে প্রথমে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তা পাঠানো হয়েছে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিশ মর্গে।