গৌতম ব্রহ্ম, সাগর: রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনে আমন্ত্রিত গঙ্গাসাগর কপিলমুনি আশ্রম এলাকার নাগা সাধুরা। কিন্তু তার পরও বেশিরভাগের মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি এই আমন্ত্রণপুত্র। কারণ আমন্ত্রণ পেলেও ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা যাওয়া হবে না তাঁদের।
মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে পুণ্যস্নান সারতে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পৌঁছতে শুরু করে দিয়েছেন দলে দলে ভক্ত, সাধুরা। সেই নাগা সাধুরা যাতে গঙ্গাসাগরের পুণ্যস্নান সেরে অযোধ্যা পৌঁছে যান, তার জন্য আগেভাগেই আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। কিন্তু সাগরে এসে দেখা গেল, আমন্ত্রণপত্র পেয়েও মুখ ভার বহু নাগা সাধুর। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট হল মনখারাপের কারণটা। আসলে অনেকেরই বক্তব্য, আমন্ত্রণপত্র পেলেও তাঁদের অযোধ্যা যাওয়ার টিকিট দেওয়া হয়নি। কিন্তু এত অর্থ খরচ করে তাঁদের পক্ষে অযোধ্যা পৌঁছনোর উপায় নেই।
[আরও পড়ুন: বিদ্বেষ মুক্তির লড়াইয়ে শান্তির জয়, ফের বাংলাদেশের সিংহাসনে ভারতবন্ধু হাসিনা]
হিমাচল প্রদেশ থেকে এসেছেন নাগাবাবা তথগিরি। তিনি জানালেন, সাত-আট দিন আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। কিন্তু আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে টিকিট আসেনি। তাই কীভাবে যাবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। এত তাড়াতাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন তিনি। আবার সন্ন্যাসী মঙ্গলগিরি বলছেন, “ভারতে এবার বড় কোনও মেলা নেই। তাই এবার গঙ্গাসাগরে ভিড় বেশি হবে। ১৬-১৭ তারিখ পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। এত তাড়াতাড়ি পৌঁছতে পারব না। পরে কোনও এক সময় যাব।”
অসমের কামাখ্যা থেকে সাগরে পৌঁছেছেন নিত্যানন্দ গিরি মহারাজ। এই তরুণ যুবা নাগা সন্ন্যাসী অবশ্য অযোধ্যা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী না থাকলে হয়? আমাদের জুনা আখড়া থেকেই পৌঁছে যাব।” নিত্যানন্দ গিরি পারলেও ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকা হবে না অনেকেরই। তাই সাগরের আনাচে-কানাচে ধরা পড়ল মনখারাপের গল্প।