রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: চার দফার ভোটপর্ব শেষ। তার পরও ফের চর্চায় বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোট না হওয়ার বিষয়টি। সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জোট না হওয়ার দায় কার? এই নিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম(Md Salim) ও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির(Nawsad Siddique) মধ্যে তরজা তুঙ্গে উঠেছে।
জোট না হওয়ার জন্য আইএসএফ বিধায়ককে দায়ী করেছেন মহম্মদ সেলিম। ভাঙড়ে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যর সমর্থনে একটি সভায় সেলিম বলেন, জোটের প্রশ্নে তাঁরা নমনীয় থাকলেও আইএসএফ বিধায়কের কারণেই তা হয়ে ওঠেনি। আর তা শুনেই পালটা নওশাদের দাবি, আইএসএফের মতো ছোট দলকে সংসদে চায়নি সিপিএমই।
[আরও পড়ুন: দিঘা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, কাঁথিতে বাস ও চারচাকার সংঘর্ষে মৃত ৪]
লোকসভা ভোট ঘোষণার পর থেকেই বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছিল বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোট হবে কি না তা নিয়ে। কিন্তু আইএসএফের নূন্যতম চাহিদা অনুযায়ী আসন দিতে রাজী হয়নি বামফ্রন্ট। তার পর প্রকাশ্যে মুখ খুলে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেছিলেন, বিমান বসু তথা বামেরা চায়নি বলেই তাদের সঙ্গে জোট হয়নি। কংগ্রেসও চায়নি এই জোট হোক।
আর সেই জোট না হওয়ার কারণ জানিয়ে মঙ্গলবার ভাঙড়ের সভায় সেলিম বলেন, ‘‘আইএসএফের তরফ থেকে কোনও ফোন আসেনি। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু দুমাস ধরে ফোন করেছেন।’’ সেলিমের আরও দাবি, "আমি নওশাদকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছিলাম। কোন আসনে তারা লড়বে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনও রিপ্লাই আসেনি। সব রেকর্ড আছে, এখানে এসে গুজব ছড়ালে হবে না।’’এদিকে, সেলিমের এই অভিযোগ মানতে চাননি নওশাদ।
আইএসএফ বিধায়কের দাবি, ‘‘জোটের স্বার্থে শেষপর্যন্ত আমরা ৭টি আসনে রফা করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু ওরা চায়নি আইএসএফের মতো নতুন দল পার্লামেন্টে যাক। জোটের স্বার্থে আমরা বারবার আলিমুদ্দিনে গিয়ে মিটিং করেছি। কিন্তু আলিমুদ্দিনের কর্তারা কখনও আমাদের কার্যালয়ে আসেননি।’’
অন্যদিকে, সেলিমের বক্তব্য, "প্রথমে ২২টি আসন চেয়েছিল আইএসএফ। তা থেকে কমে ১০ আসনে নামে। আমরা বলেছিলাম ৬টি আসন দেব। কিন্তু আইএসএফ তাতে রাজী হয়নি।’’পাশাপাশি নওশাদকে কটাক্ষ করে সেলিম বলেন, ‘‘মিডিয়া কাউকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাল, আর সে ভাবল আমি বড় নেতা হয়ে গিয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, সেলিম আইএসএফের সঙ্গে জোট করার পক্ষে ছিলেন বলে দাবি করলেও বামফ্রন্টের অন্দরের খবর, একাধিক শরিকদল চাইছিল না আইএসএফের সঙ্গে জোট হোক বলে। কংগ্রেসও ঘোরতর বিরোধী ছিল আইএসএফের সঙ্গে জোটে যেতে।