shono
Advertisement
Terrorist

বাংলায় বিয়েবাড়িতে এসে NIA-র জালে, কীভাবে গ্রেপ্তার 'জঙ্গি' চিকিৎসক পড়ুয়া?

দিল্লির নাশকতার সঙ্গে ধৃতের যোগ থাকতে পারে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের।
Published By: Sayani SenPosted: 09:23 AM Nov 15, 2025Updated: 10:57 AM Nov 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নাশকতার সঙ্গে নাম জুড়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের। এই ঘটনায় ধৃত সেখানকার তিন চিকিৎসক। এনআইএ-র জালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক পড়ুয়া। উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়েছে। মা ও বোনকে নিয়ে পৈতৃক বাড়িতে বিয়েবাড়িতে এসেছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে তাকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। আপাতত শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধৃতকে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ধৃত জানিসুর ওরফে নিশার আলম পাঞ্জাবের লুধিয়ানাতে থাকেন। তাঁদের পৈতৃক বাড়িতে ডালখোলার কোনাল গ্রামে। দিনকয়েক আগে ওই বাড়িতে এক আত্মীয়র বিয়ে ছিল। সেখানেই এসেছিলেন অভিযুক্ত। সেই সময় তাকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। সম্ভবত দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নিশার। তবে কীভাবে নাশকতার সঙ্গে যুক্ত নিশার, তা এনআইএ-র তরফে এখনও কোনও তথ্য় দেওয়া হয়নি।

এদিকে, নিশারের গ্রেপ্তারিতে অবাক তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। ঘরের ছেলের সঙ্গে 'জঙ্গি' যোগ কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না। যুবকের কাকা বলেন, "খুবই শান্ত এবং ভদ্র ছেলে। দিনরাত পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। আর কোনও কিছুতেই ওর মন নেই। সে-ই কিনা বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত, মানতে পারছি না।" ছেলেকে এনআইএ গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়ার পর থেকে ডুকরে কেঁদে চলেছেন নিশারের মা। ছেলে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না বলেই মত তাঁর।

বলে রাখা ভালো, দিল্লি বিস্ফোরণের পর বাংলাতে এর আগেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামেও হানা দেন তদন্তকারীরা। পরিযায়ী মইনুল হাসানের বাড়িতে তল্লাশি চালান। জানা গিয়েছে, মইনুল কখনও দিল্লি, আবার কখনও মুম্বইয়ে কাজ করে। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কাজ করার সময় এক বাংলাদেশির সঙ্গে থাকতেন মইনুল হাসান। সেই বাংলাদেশির সঙ্গে মইনুলের দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি। সেই সময়ে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ওই পরিযায়ীর যোগাযোগ হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে এনআইএ। উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর সরকারিভাবে বুধবার ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ। তদন্তে নেমে মইনুলের ফোন নম্বর পায় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেপ্তারির খবর পাওয়া যায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement