সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের মেনুকার্ডে CAA বিরোধী বার্তা ছিল আগেই। এবার বিয়ের কার্ডে NRC, CAA বিরোধী বার্তা দিলের পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবক। তার এই অভিনব নিমন্ত্রণ কার্ডে মজেছেন নিমন্ত্রিতরা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নাগরিক সংশোধনী আইন পাশ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরে তা আইনেও পরিণত হয়েছে। এরপর এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমজনতা থেকে বিশিষ্টজনেরা, পড়ুয়া থেকে চাকরিজীবীরা। কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে তো কেউ আবার বিভিন্ন শিল্পকলার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকী সরস্বতী পুজোর মণ্ডপের থিমেও এই প্রতিবাদ উঠে এসেছে। বাদ পড়েনি বিয়ের মেনুকার্ডও। এবার বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রেও বিতর্কিত এই আইনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এক যুবক।
[আরও পড়ুন : করোনা সংক্রমণ রুখতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হলদিয়া বন্দরে, কর্মীদের নিয়ে সচেতনতা শিবির]
প্রচলিত নিয়ম বলে, বিয়ের কার্ডের উপর লেখা থাকবে, শ্রীশ্রীপ্রজাপতয়েঃ নমঃ’ বা ‘যদিদং হৃদয়ং তব’ কিংবা ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রীতি বদলেছে। অনেক পাত্রপাত্রী আবার নিজেদের প্রেমের বর্ণনাও রেখে থাকেন। তবে ব্যতিক্রমী কেশপুরের মহম্মদ আলিফ। তাঁর বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রের উপর গোটা গোটা রোমান হরফে লেখা রয়েছে,”নো এনআরসি, নো সিএএ।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজিতে স্নাতক আলিফ কেরোসিন ডিলার। কেশপুরের মুসবসানের বাসিন্দা মহম্মদ আলিফের সঙ্গে হাসিনা মমতাজের বিয়ে। তাঁদের বিয়ের তারিখ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি।
[আরও পড়ুন : কন্যাশ্রীর টাকায় ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী , ইউনিসেফের প্রশংসা কুড়ল শিলিগুড়ির কন্যা]
কিন্তু বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রে কেন এই প্রতিবাদ? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আলিফ জানান, “এমন সময় আমার বিয়ে হচ্ছে, যখন দেশবাসী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি যে, এই আইনের বিরোধিতা করা উচিত। তাই বিয়ের কার্ডে ‘No NRC, No CAA’ লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর ফলে আত্মীয় পরিজনদের কাছে এই প্রতিবাদের কথা সহজে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।” অভিনব এই প্রতিবাদে আলিফকে সমর্মথন জানিয়েছেন তাঁর বাবা শেখ ইউসুফ আলি ও মা মরহুম নহুরা বেগম।
The post মেনুকার্ডের পর এবার বিয়ের আমন্ত্রণপত্রেও CAA বিরোধী বার্তা appeared first on Sangbad Pratidin.
