ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: গত কয়েকদিনে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। রাজ্যজুড়ে নতুন করে দাপট দেখাতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস। তবে তার মধ্যেও ১১টি জেলার পরিস্থিতি রীতিমতো আতঙ্কিত করছে বিশেষজ্ঞদেরও। ইতিমধ্যেই সেখানকার সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ পেরিয়েছে। তাঁর মধ্যে শীর্ষে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা ও উত্তর ২৪ পরগনা। এই দুই জায়গায় সংক্রমণের হার ঘুম উড়িয়েছে বাসিন্দাদের।
স্বাস্থ্যদপ্তরের শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যের ১১ টি জেলার সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের উপরে। সেই তালিকার শীর্ষে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা। সেখানকার পজিটিভিটি রেট ২৪.৭৭ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে তা ২৩.৬৫ শতাংশ। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। দার্জিলিংয়ের পজিটিভিটি রেট ১৯.০১ শতাংশ। এছাড়াও নদিয়া, কলকাতা, পূ্র্ব বর্ধমান, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান, কালিম্পং-সহ বেশ কয়েকটি জেলার পরিস্থিতিও বাড়াচ্ছে আতঙ্ক। দৈনিক সংক্রমণের হার দশ শতাংশের নিচে রয়েছে মালদহ, জলপাইগুড়ি. বাঁকুড়া, হুগলি-সহ ৯ টি জেলায়।
[আরও পড়ুন: ‘২০২৪ সালের আগে CAA লাগু না হলে জীবন-মরণ আন্দোলনে নামব’, হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়কের]
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৭৩৭ জন উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ আগেরদিনের তুলনায় অত্যন্ত সামান্য হলেও কম। তবে এদিনও দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে এই জেলা। দ্বিতীয় স্থানে তিলোত্তমা। একদিনে কলকাতায় সংক্রমিত ৬৫৮ জন। তৃতীয় স্থানে হুগলি এবং চতুর্থ স্থানে পশ্চিম বর্ধমান। সেখানে সংক্রমিত যথাক্রমে ১৯৬ ও ১৫২ জন।
ফলে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০, ৫১, ৭৭। পজিটিভিটি রেট ১৭.৩৬ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ৮৫৩ জন। এখনও পর্যন্ত করোনাজয়ী ২০,০৭,২০৪ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৮৩ শতাংশ। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন ২২, ৭৫৬ জন। হাসপাতালে ভরতি ৫০৮ জন। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৩২৬৪। করোনা মোকাবিলায় জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। একদিনে টিকা নিয়েছেন ৭৬, ৫৬৫ জন।